উইলিয়াম ও হ্যারি। ব্রিটেনের দুই রাজকুমার ও তাদের স্ত্রীদের জন্য বিশেষ মিডিয়া সংক্রান্ত পরামর্শদাতা রয়েছে। কিন্তু তাদের হাজারো চেষ্টাতেও ঘরের ঝগড়া বাইরে আসা ঠেকানো যাচ্ছে না। গত কয়েক মাসে ডাচেস অব সাসেক্স মেগানকে নিয়ে একের পর এক বিতর্কিত খবর হয়েছে ব্রিটিশ দৈনিকগুলোতে। প্রায় সবেতে ‘খলনায়িকা’ হিসেবে দেখানো হয়েছে হ্যারি-পত্নীকে।
এমনও শোনা যাচ্ছে, মেগানকে বোঝাতে গিয়ে হতাশ হয়ে পড়েছেন পরামর্শদাতারা। তার কানে আর কথা পৌঁছায় না। এ ধরনের খবরের শীর্ষে রয়েছে ডাচেস অব কেমব্রিজ কেটের সঙ্গে মেগানের ঝামেলার কথা। সম্প্রতি একটি দৈনিকে দাবি করা হয়, মেগান নাকি বিয়ের পরেই অভিযোগ এনেছিলেন, তার ব্রাইডসমেডদের পোশাক ঠিক মতো বানানো হয়নি। আর এর জন্য দায়ী উইলিয়াম-পত্নী কেট। আর একটি খবরে দাবি করা হয়েছিল, রাজপ্রাসাদের কর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন মেগান। এতটাই যে আড়ালে তাকে ‘ডাচেস ডিফিকাল্ট’ বলে ডাকা হয়।
বৌদের ঝামেলার মাঝে বিপাকে পড়েছেন দুই ভাইও। এই মুহূর্তে দুই যুগলের জনসংযোগ সামলান ৩৭ বছর বয়সি জেসন নফ। তিনি জানিয়েছেন, এখন থেকে তিনি শুধু উইলিয়াম ও কেটের বিষয়ে মন দেবেন। ডিউক এবং ডাচেস অব সাসেক্স-এর দেখভাল করবেন নফের ডেপুটি ক্রিশ্চিয়ান জোনস। সবদিক বিচার করে দুই ভাইকে ‘আলাদা’ হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
২০০৯ সাল থেকে বাবা যুবরাজ চার্লসের প্রাসাদ ছেড়ে আলাদা থাকা শুরু করেন দুই ভাই। এতদিন তারা স্ত্রীদের নিয়ে লন্ডনের কেনসিংটন প্রাসাদে থাকছিলেন। শোনা যাচ্ছে, খুব শিগগিরি কেনসিংটন প্রাসাদ থেকে বেরিয়ে উইন্ডসর এস্টেটের ফ্রগমোর কটেজে আলাদা সংসার পাতবেন হ্যারি-মেগান। সন্তানদের নিয়ে উইলিয়াম-কেটের এখন ভরা সংসার। খুব শিগগিরি বাবা-মা হচ্ছেন হ্যারি ও মেগানও। ঝগড়া-ঝঞ্ঝাট এড়াতে তাই এটাই সুবন্দোবস্ত বলে মনে করছে প্রাসাদ। সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা
ইত্তেফাক/এসআর