শ্রীলঙ্কার তিনটি চার্চে ও অভিজাত তিনটি হোটেলে ভয়াবহ হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬০ জনে দাঁড়িয়েছে। হামলায় আহত হয়েছে আরও তিন শতাধিক। নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিবিসি।
এদিকে এই সিরিজ বোমা হামলার পর শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোর দেহিওয়ালা এলাকায় আরও একটি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে, সেখানে দুজন নিহত হয়েছেন।
খ্রিস্টানদের ধর্মীয় উৎসব ইস্টার সানডে উদযাপনকালে তিনটি চার্চে বিস্ফোরণ ঘটে বলে খবরে বলা হয়েছে। দেশটির স্থানীয় সময় রবিবার সকাল ৮ টা ৪৫ নাগাদ এ হামলার ঘটনা ঘটে।
খবরে বলা হয়েছে, কোচকিকাদে, কাতুয়াপিটিয়া ও বাট্টিকালোয়া নামক স্থানের তিনটি গির্জায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এছাড়া দেশটির রাজধানীর অভিজাত তিনটি হোটেল সাংগ্রি লা, দ্য কিন্নামোন এবং কিংসবারি তিনটি হোটেলে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রথম বিস্ফোরণটি কলম্বোর সেন্ট এন্থনি চার্চ ও কাতুয়াপিটিয়ার সেন্ট সেবাস্থিয়ান চার্চে ঘটে।
হামলার পর সেন্ট সেবাস্থিয়ানর ফেসবুক পাতায় বলা হয়েছে, আমাদের গির্জার বোমা হামলা হয়েছে, দয়া করে এগিয়ে আসুন এবং আপনার পরিবারের সদস্যরা থাকলে সাহায্য করুন।
দেশটির বাত্তিকালোয় হাসপাতালের পক্ষ থেকে এএফপিকে বলা হয়েছে, তাদের হাসপাতালে আহত ৩০০ জনকে ভর্তি করা হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া হামলার বিভিন্ন ছবিতে দেখা যায়, সেন্ট সেবাস্তিয়ান চার্চের ভিতরে রক্তাক্ত অবস্থা।
শ্রীলঙ্কার স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, হামলায় নিহতদের মধ্যে বিদেশি পর্যটক থাকতে পারে। নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তেও পারে বলে বলা হয়েছে।
শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা এক বিবৃতিতে দেশটির জনগণকে শান্ত থাকতে এবং সেইসঙ্গে এ বর্বর ঘটনার তদন্তে দেশটির কর্তৃপক্ষকে সমর্থন জানাতে আহ্বান জানিয়েছেন।
এছাড়া দেশটির প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহ এক জরুরি বৈঠক ডেকেছেন।
আরো পড়ুন: সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর
এ হামলার দায় এখন পর্যন্ত কোন সন্ত্রাসী গোষ্ঠী স্বীকার করেনি বলে খবরে বলা হয়েছে। তথ্য সূত্র: বিবিসি, এনডিটিভি, আল-জাজিরা।
ইত্তেফাক/এসআর