শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

কংগ্রেস সব রাজ্য কমিটি ভেঙে দিল

আপডেট : ২৫ জুন ২০১৯, ০৮:২৮

ভারতের কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ইস্তফায় অনড় রাহুল গান্ধী। নতুন সভাপতি খুঁজে বার করার চেয়ে দলীয় শীর্ষ নেতৃত্ব রাহুলকেই সভাপতি পদে ফেরানোর চেষ্টায় বেশি সক্রিয়। এই পরিস্থিতিতে এবার সব রাজ্য কমিটি ভেঙে দিল কংগ্রেস। অর্থাত্ প্রদেশ কংগ্রেস কমিটিগুলোর আর কোনো সাংগঠনিক কাঠামো থাকল না। আগামী সপ্তাহে ফের বৈঠকে বসছে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি (সিডব্লিউসি)। ঐ বৈঠকেই সভাপতি নির্বাচন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হতে পারে।

লোকসভা ভোটের ফল ঘোষণা হয়েছিল ২৩ জুন। ভোটে ২০১৪ সালের চেয়ে সামান্য বেড়ে কংগ্রেসের আসন ৫২ হলেও কার্যত ভরাডুবি হয়েছে কংগ্রেসের। তার পর ২৫ জুন পর্যালোচনা বৈঠকে বসে সিডব্লিউসি। দলের বিপর্যয়ের দায় নিয়ে ঐ বৈঠকেই ইস্তফাপত্র পেশ করেন রাহুল গান্ধী। কিন্তু দলের নীতি নির্ধারণ কমিটি সর্বসম্মতভাবে সেই পদত্যাগপত্র গ্রহণ না করে রাহুলকেই সভাপতি পদে কাজ চালিয়ে যাওয়ার আর্জি জানায়। কিন্তু রাহুল তাতে রাজি হননি।

তারপরও দলের শীর্ষ নেতাদের প্রায় সবাই বহুভাবে তাঁকে পদে থাকার অনুরোধ-উপরোধ করেছেন। কিন্তু রাহুল গোঁ ধরে রয়েছেন। তিনি পদত্যাগের সিদ্ধান্তে অবিচল। কোনোভাবেই কংগ্রেস সভাপতির পদে আর ফিরবেন না। এই পরিস্থিতিতে দলও এবার নতুন করে ভাবতে শুরু করেছে। সভাপতির বদলে কাউকে কার্যকরী সভাপতি করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার কৌশলের প্রসঙ্গও উঠে এসেছে। এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেসের সমস্ত রাজ্য কমিটি সোমবার ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে হাইকম্যান্ড। সভাপতি নির্বাচন ইস্যুতে আগামী সপ্তাহে ফের বৈঠকে বসছেন কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির সদস্যরা।

দলীয় সূত্রের খবর, ঐ বৈঠকেও ফের একবার রাহুল গান্ধীকে সভাপতি পদে থাকার জন্য অনুরোধ জানাবেন শীর্ষ নেতৃত্ব। তবে একটি সূত্রে এও বলা হচ্ছে, এটাই হবে শেষ অনুরোধ। এবারও রাহুল রাজি না হলে নতুন সভাপতি বা কার্যকরী সভাপতি খোঁজার কাজ শুরু করে দেবেন দলের নেতারা।

তার আগে প্রদেশ কংগ্রেস কমিটিগুলো ভেঙে দেওয়াও তাত্পর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক শিবির। এর ফলে প্রদেশ কংগ্রেস কমিটিগুলোর আর কোনো সাংগঠনিক কাঠামোই থাকল না। মনে করা হচ্ছে, নতুন সভাপতি বা কার্যকরী সভাপতি নির্বাচনের পর এই কমিটিগুলো নতুন করে গঠন করা হবে। রাজনৈতিক শিবিরের একাংশের জল্পনা, আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না হলেও দলের অন্দরে নতুন সভাপতি নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে বলেই প্রদেশ কংগ্রেস কমিটিগুলো ভেঙে দেওয়া হলো।

ইত্তেফাক/এসআর