চলছে এক অদৃশ্য শত্রুর বিরুদ্ধে টিকে থাকার লড়াই। এই লড়াইয়ে বড়োদের পাশাপাশি ছোটরাও নানাভাবে যুক্ত রয়েছে। স্কুল বন্ধ থাকলেও অনলাইনে চলছে ক্লাস, পরীক্ষা আর বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা। সেইসঙ্গে সুস্থ থাকার জন্য সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ছোটদের ভিডিও বার্তার মাধ্যমে সবাইকে জানাচ্ছে কীভাবে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। কেউ ছবি আঁকছে, কেউ গান করছে, কেউ নাচ করছে, আবার কেউ গল্পের বই পড়ে সময় কাটাচ্ছে। আমরা কঁচি-কাচার আসরের পক্ষ থেকে ঘোষণা দিয়েছি—তোমরা কে কেমন করে ঘরবন্দি সময় পার করছ এবং তোমাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী সেটা লিখে তোমাদের একাধিক ছবিসহ আমাদের পাঠিয়ে দাও। আমরা সেটা কচি-কাঁচার আসরে প্রকাশ করব। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে অনেকেই লেখা এবং ছবি পাঠাতে শুরু করেছে। তোমরা এখনো যারা পাঠাওনি তারা দ্রুত পাঠিয়ে দাও। আমাদের এই আহবানে সাড়া দিয়েছে আমাদের বন্ধু খুদে অভিনেত্রী সিমরিন লুবাবা সিমরান। চলো তার কাছ থেকে শুনি তার করোনার দিনগুলির গল্প—
প্রিয় বন্ধুরা, কচি-কাঁচার আসরের আমন্ত্রণে আজ আমি তোমাদের বলব আমার করোনাকালীন দিনযাপনের গল্প| আমার নাম সিমরিন লুবাবা সিমরান| করোনার এ সময়ে আমি আমার বাবা-মা দাদা-দাদিকে সময় দিচ্ছি এবং তাদেরকে বাসার বিভিন্ন কাজে সাহায্য করছি| অনলাইনে পড়াশোনা ও ক্লাস করছি এবং বন্ধুদের সাথে কথা বলছি।এছাড়া মাঝে মাঝে গরিব-দুঃখীদের খাবার দিয়ে সাহায্য করছি|
এ সময় আমি সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কিছু শুটিংয়ের কাজ করেছি যেমন—রূপচাঁদা, রাঁধুনি ইত্যাদি। এছাড়া সামনে আরো কিছু কাজ আছে তা করতে যাচ্ছি। আমি একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলেছি যাতে আমার ভিডিওগুলো আপলোড করছি|
শরীর সুস্থ রাখার জন্য আমি আম্মু এবং দাদুদের দেখাদেখি মেডিটেশন করি, ব্যায়াম করি। এসময়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এটি আমাকে সাহায্য করছে।
আমার দাদা অভিনেতা আব্দুল কাদের ও দাদি আমাকে বিভিন্নভাবে এ কাজের অনুপ্রেরণা দেন। পাশাপাশি নামাজ ও আরবি পড়ছি এবং আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছি যাতে আমাদের দেশ ও সারা পৃথিবী করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তি পায় এবং আমাদের জীবনযাপন স্বাভাবিক হয়। তোমরাও সবাই সাবধানে থেকো এবং মনখারাপ না করে তোমাদের এই ঘরবন্দি সময়টাকে নিজেদের মতো করে এনজয় করো। চলো আমরা সবাই মিলে এক নতুন পৃথিবী গড়ে তুলি যেখানে কেউ অসচেতন থাকবে না। আর কচি-কাঁচার আসরকে ধন্যবাদ আমাদেরকে সুযোগ দেওয়ার জন্য।