সম্প্রতি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নের আলোচনায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান টেনে আনেন কাশ্মির প্রসঙ্গ। কিন্তু এ বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেননি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ওই টেলিফোন আলোচনায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সমর্থন পেতে ব্যর্থ হয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। কয়েক দশক ধরে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে ক্ষমতাকেন্দ্রীক একটা দ্বন্দ্ব রয়েছে। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী আওয়ামী লীগকে পাকিস্তান ও দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে হয়েছে আজীবন। মুক্তিযুদ্ধের সময়ও পাকিস্তান সেনা বাহিনীর হাতে গণহত্যার শিকার হয় বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পিতা ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যায় পাকিস্তানের ভূমিকার বিষয়ে রয়েছে যথেষ্ট প্রমাণ। এ ছাড়াও বাংলাদেশে সন্ত্রাসবাদী দল জামায়াত ইসলাম এবং বিএনপিকে দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই সমর্থন দিয়ে আসছে। সর্বশেষ ২০১৮ সালের নির্বাচনে পাক এই গোয়েন্দা সংস্থা বিএনপিকে সমর্থন দেয় এবং ক্ষমতার আনার ব্যর্থ চেষ্টা করে।
টেলিফোনের আলোচনার পর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে দেওয়া বিবৃতির মতো পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বিবৃতি দেওয়া হয়। কিন্তু অবাক করার মত বিষয় হলো, এই দুই বিবৃতির মধ্যেও ছিলো বেশ কিছু পার্থক্য। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি একই টেলিফোন বার্তা নিয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।
পাকিস্তানের দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, ইমরান খান 'ভারত অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীর সংকট' ও আঞ্চলিক সমস্যাগুলোর সমাধান নিয়ে আলোচনা করেন। কিন্তু বাংলাদেশের পক্ষ থেকে দেয়া বিবৃতিতে তেমন বিষয় নিয়ে কোন আলোচনার কথা উল্লেখ করা হয়নি।
পাকিস্তানের পক্ষ থেকে এই আলোচনা নিয়ে ৯ অনুচ্ছেদের একটি বর্ণনা প্রকাশ করা হয়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশের দেয়া বিবৃতিতে ছিলো মাত্র দুইটি অনুচ্ছেদ।
এ ছাড়াও পাকিস্তানের ঐ বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পাকিস্তান সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর দেয়া বিবৃতিতে কোন কিছু উল্লেখ করা হয়নি।
ইত্তেফাক/আরএ