রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের আরটিপিসিআর (রিভার্স ট্রান্সক্রিপশন পলিমারেজ চেইন রিঅ্যাকশন) ল্যাবে কিটবক্স গায়েবের অভিযোগ উঠেছে। হাসপাতালের এ ল্যাবে প্রায় ২ হাজার কিটবক্সের হিসাব মিলছে না বলে অভিযোগে জানা গেছে। এই কিটবক্স দিয়েই করোনার পরীক্ষা হয়।
এ ঘটনা তদন্তে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের পরিচালক সম্প্রতি ২ সদস্যের তদন্ত কমিটি করেছেন। দ্রুত সময়ে কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কিটবক্স গায়েবের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের (রামেক) সহযোগী অধ্যাপক ডা. খন্দকার মোহা. ফয়সাল আলমকে। ইতোমধ্যে ল্যাবের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে কমিটি। তবে এ ব্যাপারে কথা বলতে অসম্মতি জানিয়েছেন তদন্ত কমিটির প্রধান।
রামেক হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কিটবক্স গায়েবের বিষয়টি স্পর্শকাতর। এখনো তদন্ত হচ্ছে। তদন্ত কমিটি আরটিপিসিআর ল্যাব সংশ্লিষ্টদের কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। প্রতিবেদন পাওয়ার পর বিষয়টি পরিষ্কার হবে। কারা জড়িত তাও জানা যাবে।
এ ব্যাপারে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী রবিবার সন্ধ্যায় বলেন, সম্প্রতি এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ আসার পরপরই তদন্ত কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। ওই তদন্ত কমিটি বিষয়টি নিয়ে এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছেন। কমিটি প্রতিবেদন দাখিল করার পর বোঝা যাবে সত্যিই কোনো অসঙ্গতি আছে কিনা।
করোনা পরিস্থিতির শুরু থেকেই রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ ও রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থাপিত দুটি আরটিপিসিআর ল্যাবকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন অসঙ্গতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠে আসে। এবার সেই মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দুই হাজার কিটবক্স গায়েব হওয়ার অভিযোগ সামনে এলো। সম্প্রতি ল্যাবের এক কর্মকর্তা গোপনে হাসপাতাল পরিচালকের কাছে করোনা পরীক্ষার কিটবক্সের গরমিলের ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ করেন। এর পরেই গোপন অভিযোগটি আমলে নেন রামেক হাসপাতালের পরিচালক।