ভারতের নয়াদিল্লিতে যথাযথ মর্যাদায় নানান কর্মসূচির মধ্য দিয়ে সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালন করেছে বাংলাদেশ হাইকমিশন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী, বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্বের ৫০ বছর এবং দুই দেশের প্রতিরক্ষা বিষয়ক কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছরে দিবসটির তাৎপর্য ছিল অন্যরকম। সোমবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এই অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।
এসময় স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও স্বাধীনতা সংগ্রামে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করা হয়। পরে দূতাবাসের প্রতিরক্ষা বিভাগের আয়োজনে দূতাবাসের প্রতিরক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদের সূচনা বক্তব্যের মধ্য দিয়ে আলোচনা শুরু হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ভারত সরকারের কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা বিষয়ক মন্ত্রী রাজনাথ সিং। এ সময়ে অন্যান্যদের মধ্যে বাংলাদেশ দূতাবাসের হাইকমিশনার মুহাম্মদ ইমরান বক্তব্য দেন। দূতাবাস আয়োজিত সশস্ত্র বাহিনী দিবসের কর্মসূচিতে ভারত সরকারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর এবারই ছিল প্রথমবারের মতো যোগদান। এ সময় ভারতের সেনাপ্রধানসহ ৩ বাহিনীর প্রধানই উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্বের ৫০ বছরে আজকের আয়োজন এক নতুন মাত্রা পায়।
বাংলাদেশ-ভারতের ৫০ বছরের বন্ধুত্বের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরে রাজনাথ সিং বলেন, দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক এখন অনন্য উচ্চতায়। আমাদের প্রতিবেশি দুই দেশের সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে ৫০ বছরের কূটনৈতিক সম্পর্ক দৃষ্টান্ত হয়ে আছে।
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ৫০ বছরকে ইতিহাসের ‘মাইলফলক’ উল্লেখ করে হাইকমিশনার মুহাম্মদ ইমরান বলেন, এ সম্পর্ক বন্ধুত্বের, এ সম্পর্ক ঐতিহাসিক। বর্তমান সরকারের আমলে এটা নতুন মাত্রা পেয়েছে।
অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে সাংবাদিক, বীর যোদ্ধা, লেখক, বুদ্ধিজীবী, কূটনীতিকসহ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। কেক কাটা ও মধ্যাহ্নভোজের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়।
এদিকে বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৫৮তম জন্মদিনে নয়াদিল্লীর বাংলাদেশ হাই কমিশন চত্বরে বিভিন্ন প্রজাতির ১০০টি গাছ লাগানো হয়। হাইকমিশনার মুহাম্মদ ইমরান নিজ হাতে বৃক্ষ রোপণ করে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। এসময় দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তার কনিষ্ঠ শেখ রাসেলের জন্মদিনে শত বৃক্ষ রোপনের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। বৃক্ষ রোপণে সহযোগিতা করেন দিল্লীর খ্যাতনামা স্বেচ্ছাসেবক সংগঠন প্লানটোলজি। এসময় প্লানটোলজির নির্বাহী প্রধান রাধুকা আনন্দও একটি বৃক্ষ রোপণ করেন।
Attended the Bangladesh Armed Forces Day event today at the High Commission of Bangladesh. Recalled the heroic fight by the Muktibahini and the Indian Armed Forces in the Liberation of Bangladesh. The spirit of 1971 continues to nourish India-Bangladesh relations. pic.twitter.com/vcsNPBE9qF
— Rajnath Singh (@rajnathsingh) November 22, 2021