স্বাস্থ্য সুরক্ষায় শীতকালীন শাকসবজির ভূমিকা অপরিসীম। শীতের শাকসবজির মধ্যে ‘সুপারফুড’ হিসেবে পরিচিত পালংশাক। পুষ্টিতে ভরপুর পালংয়ের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও ক্যান্সার প্রতিরোধী গুণ রয়েছে। নিয়মিত পালংশাক খেলে বেশ কয়েকটি কঠিন রোগ থেকে নিজেকে মুক্ত রাখা যায়। চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন কোন রোগ থেকে দূরে রাখে পালংশাক।
ক্যান্সারমুক্ত রাখে
পালংশাকে আছে নানা ধরনের অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট। যা শরীরকে ক্যান্সারমুক্ত রাখতে সাহায্য করে। বিশেষ করে প্রস্টেট ক্যানসার রোধে এই শাক খুবই কার্যকর।
ওজন কমায়
সবুজ পাতার এ শাক দ্রুত পেটের চর্বি কমাতে পারে। পালংয়ে ভিটামিন ও মিনারেল আছে, এতে ক্যালরি থাকে তুলনামূলক কম। তাই ওজন কমাতে খাবারে বেশি করে পালং রাখতে পারেন। গবেষণায় দেখা গেছে, যাদের ওজন বেশি তারা নিয়মিত পালংশাক খেলে বাড়তি ওজন কমতে থাকে।
সর্দি-কাশি নিরাময় করে
শীত এলেই যাদের সর্দি-কাশি লেগেই থাকে তারা নিয়ম করে পালংশাক খেতে পারেন। শীতকালে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বিশেষ ভাবে নজর দিতে হয় শরীরের দিকে। এ শাকে থাকা ভিটামিন সি এবং অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট খুব ভালোভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে।
হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়
পালংয়ে থাকা ভিটামিন সি কার্ডিওভাসকুলার রোগ দূর করতে সক্ষম। ভিটামিন সি-তে লুটিন থাকে। এটি ধমনির গা মোটা হওয়া ঠেকিয়ে মানুষের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়। তাই উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে নিয়মিত পালংশাক খাবেন।
দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে
পালংশাকে আছে প্রচুর ভিটামিন সি। পালংয়ে রয়েছে লুটিন ও কেরোটিনয়েড, যা দৃষ্টিশক্তির উন্নতি করতে সাহায্য করে। এবং চোখের রোগ থেকে মানুষকে রক্ষা করে।
হাড় মজবুত রাখে
পালংশাকে আছে ভিটামিন কে। এই ভিটামিন অস্টিওক্যালক প্রোটিন উৎপাদন করে হাড়ে ক্যালসিয়ামকে স্থিতিশীল রাখে। এ ছাড়া পালংশাকে আরও আছে ভিটামিন ডি, ভিটামিন সি, আঁশ, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম। এসবগুলো হাড়ের গঠন ও মজবুত করার ক্ষেত্রে খুব প্রয়োজনীয় ভূমিকা রাখে।
অন্যান্য যত উপকার
কপালের বলিরেখা দূর করতে পারে, প্রসবপূর্ব সময়ে মায়েদের স্বাস্থ্যের জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া হিমোগ্লোবিন কমে গেলেও সাহায্য করতে পারে পালংশাক। পালংশাকে উপস্থিত ফোলেট খুবই দ্রুত বাড়াতে পারে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা।