শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

করোনায় নারীর প্রতি সহিংসতা বেড়েছে

আপডেট : ২৯ নভেম্বর ২০২১, ১৭:৪২

করোনাকালীন মানুষের আয় হ্রাস, কর্মসংস্থানের অভাব, সীমিত বিচারিক কার্যক্রম, মামলার বিষয়ে অনাগ্রহ, পুরুষের অতিরিক্ত ঘরে অবস্থান ইত্যাদি কারণে নারীর প্রতি সহিংসতা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।

সোমবার (২৯ নভেম্বর) একশনএইড বাংলাদেশের সহযোগিতায় ২৬ টি মানবাধিকার সংগঠনের প্ল্যাটফর্ম জাতীয় নারী নির্যাতন প্রতিরোধ ফোরাম (জেএনএনপিএফ) আয়োজিত ‘নারীর প্রতি সহিংসতার চিত্র বিশ্লেষণ এবং জাতীয় নারী নির্যাতন প্রতিরোধ ফোরামের পদক্ষেপ’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারে এসব কথা বলেন আলোচকরা।

ওয়েবিনারে জেএনএনপিএফ দেশের ২০ টি জেলা থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুয়ায়ী দাবি করে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত দেশের ২০টি জেলায় ৬০৯ টি পারিবারিক নির্যাতন, ৪২ টি ধর্ষণ, ২৩৯ টি যৌতুকের জন্য নির্যাতন এবং ১১২ টি বাল্যবিবাহের মত ঘটনার অভিযোগ এসেছে তাদের কাছে। তাছাড়া এই সময়ে ৭২ টি বহু বিবাহ, ৭৩ টি তালাক, ১ টি হত্যা ও ৫ টি আত্মহত্যা, ১৩২ টি দাম্পত্য কলহ এবং অন্যান্য ৯৪ টি ঘটনাসহ সর্বমোট ১৩৭৯ টি অভিযোগ নথিভুক্ত হয়। তবে ১৩৭৯টি কেসের মধ্যে ৮৬৩টি নিষ্পত্তি হয়েছে এবং ৪২২টি কেস চলমান রয়েছে।

একশনএইড বাংলাদেশ এর কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ্ কবির বলেন, “একশনএইড বাংলাদেশ এ বিষয়ে ২০০৬ সাল থেকে প্রতিরোধ ফোরামের মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ে কাজ করে আসছে। করোনা মহামারীতেও আমরা একত্রে চ্যালেন্জ নিয়ে কাজ করেছি। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টাই পারে নারী নির্যাতনসহ সকল ধরনের সহিংসতার প্রতিরোধ করতে।

জেএনএনপিএফ নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ ও প্রতিকার এবং নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ইউনিয়ন পর্যায় থেকে শুরু করে সকল পর্যায়ে নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ কমিটি গঠন করা, প্রতিরোধমূলক আন্দোলন গড়ে তোলার পাশপাশি প্রশাসনের ইতিবাচক ভূমিকা, দ্রুত বিচারিক কার্যক্রম এবং নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ ইস্যুতে জাতীয় পর্যায়ে একটি বৃহত্তর জোট গঠন করার দাবী জানায়।

একশনএইড বাংলাদেশ এর ম্যানেজার (উইম্যান রাইটস এন্ড জেন্ডার ইক্যুইটি) মরিয়ম নেসার সঞ্চালনায় এসব তথ্য ও অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন জেএনএনপিএফ'র সভাপতি মমতাজ আরা বেগম, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগম, ফরিদপুরে অবস্থিত রাসিনের নির্বাহী পরিচালক আছমা আক্তার মুক্তা, নেত্রকোণায় অবস্থিত সাবলম্বী উন্নয়ন সংস্থার ম্যানেজার কুহিনুর বেগম, মেহেরপুর মানব উন্নয়ন কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক আছাদুজ্জামান সেলিম।

ইত্তেফাক/আরকে