বরিশালে লঞ্চ থেকে শারমিন আক্তার (২৬) নামে এক তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকা থেকে বরিশালে আসা এমভি কুয়াকাটা-২ এর নীচতলায় লস্কর কেবিন থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা বিষয়টি হত্যাকাণ্ড। মৃত শারমিন আক্তার ঢাকা পলিটেকনিক সংলগ্ন কুনিপাড়া এলাকার বাসিন্দা ও তার পিতার নাম এনায়েত হোসেন ফকির।
লঞ্চের লস্কর মো. সোহাগ বলেন, ‘১ হাজার ৮০০ টাকায় কেবিনটি স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে ভাড়া নেয়। সকালে কেবিনটি বাইরে থেকে তালাবদ্ধ দেখতে পাওয়া যায়। সন্দেহ হলে তালা খুলে কেবিনে তরুণীর লাশ দেখতে পাওয়া যায়। এরপর পুলিশে খবর দেওয়া হয়।’
রাত ৩টার দিকে শ্বাসরোধ করে হত্যাকাণ্ডের পর সঙ্গে থাকা পুরুষ ব্যক্তি পালিয়ে যায় বলে ধারণা লস্করের।
বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানার পরিদর্শক লোকমান হোসেন বলেন, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড কিনা সেটা নিশ্চিত নই। তবে আশা করছি দ্রুত আসামি গ্রেফতারে সক্ষম হবো এবং ওই তরুণীর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে।
পিবিআই এর পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম বলেন, ফিঙ্গার প্রিন্ট দিয়ে তরুণীর নাম ও পরিচয় পাওয়া গেছে। তবে বিস্তারিত কোনো তথ্য মেলেনি।
বরিশাল নৌ পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, প্রতিবছর লঞ্চে এমন হত্যাকাণ্ডের মতো ঘটনা ঘটছে। পুলিশ নেই কোনো লঞ্চে, আনসারও নেই ঠিকমতো। গাফলতি রয়েছে মনে করছি। প্রাথমকিভাবে ধারণা এটা হত্যাকাণ্ড, দ্রুত আসামিকে খুঁজে বের করা হবে।