জাতীয় সঙ্গীত দিয়ে শুরু হলো জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড ২০২১ এর চূড়ান্ত পর্ব। দেশ গঠনে এগিয়ে আসা তরুণদের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে ২০১৪ সাল থেকে সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই)-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ইয়াং বাংলা এই কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তরুণদের সর্বোচ্চ স্বীকৃতি জানানো এই অ্যাওয়ার্ড আর কিছু সময় পরেই হাতে উঠবে পেতে যাচ্ছে ১৫ সংগঠন।
গত ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ডের জন্য আবেদন আহ্বান করা হয় যা ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত চলে। এ সময় ৭০০টিরও বেশি সংগঠন দেশ গঠনে তাদের গ্রহণ করা বিভিন্ন উদ্যোগের কথা জানিয়ে আবেদন করে। বিগত মাস জুড়ে এই আবেদনগুলো যাচাই বাছাই শেষে মূল পর্বের জন্য মনোনীত করা হয় তরুণদের ৩১ সংগঠনকে।
এবারের পুরস্কারের জন্য ১২ সদস্যের তারকাখচিত জুরি বোর্ডে রয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি মফিদুল হক, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান, ক্রিকেটার ও সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মুর্তজা, অভিনেত্রী জয়া আহসান, সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক, উদ্যোক্তা আছিয়া খালেদা নীলা ও জারা মাহবুব, পরিবেশ সংরক্ষণবাদী শাহরিয়ার সিজার রহমান, চলচ্চিত্রকার রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত, টেলিভিশনের সংবাদ পাঠক তাসনুভা শিশির, উদ্যোক্তা স্বর্ণলতা রায় এবং সাংবাদিক পরিমল পালমা।
এই বিশেষ প্যানেলের দীর্ঘদিনের বিচার বিশ্লেষণ শেষে বাছাই করে ৩১ সংগঠনকে এবং সেখান থেকে ১৫ সংগঠনকে বেছে নেয়া হয় যাদের হাতে আজ (২০ ডিসেম্বর) তুলে দেয়া হচ্ছে জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড।
উল্লেখ্য, মুক্তিযুদ্ধে উদ্বুদ্ধ করা 'জয় বাংলা' স্লোগানকে ধারণ করে দুই বছর পর পর এ পুরষ্কার প্রদান করা হয়। তবে স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে এ বছর ব্যবধান কমিয়ে এক বছরেই এই পুরষ্কার দেয়া হচ্ছে। সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) এর পৃষ্ঠপোষকতায় পুরষ্কারটির আয়োজক ইয়াং বাংলার সূত্র জানায়, অ্যাওয়ার্ডজয়ী তরুণরা শুধু দেশকে পরিবর্তন নয় বরং বিশ্বব্যাপী অবদান রাখার মতো যোগ্যতা রাখে।
২০১৪ সালে প্রথম বারের মতো সমাজে বাল্যবিবাহ বন্ধ, সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের শিক্ষাদান ও সুস্থদের সহযোগিতা করা যুবক ও যুব সংগঠনকে 'জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড'র আওতায় পুরস্কৃত করা হয়। গত কয়েকবছরে এই পুরষ্কার পাওয়া ব্যক্তি ও সংগঠন আন্তর্জাতিক ভাবে প্রশংসিত হয়েছে। এর মাধ্যমে দেশকে তুলে ধরা ও অন্যদের মাঝে অনুপ্রেরণা তৈরি করা গেছে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা। এ বছর পুরষ্কারে নতুন করে কিছু বিষয় যোগ করা হয়েছে। এর আওতায় স্বাধীনতা উত্তর দেশ গঠনে নেতৃত্ব, সেবা, উদ্যোগ ও গবেষণা করা ব্যক্তিদেরকে বিশেষ স্বীকৃতি দেবে ইয়াং বাংলা।