শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র ‘কিলার রোবট’ বন্ধের দাবি বিশ্ববাসীর

আপডেট : ২১ ডিসেম্বর ২০২১, ০৪:৩৯

বিশ্বজুড়ে ‘কিলার রোবট’ নিয়ে উৎকণ্ঠা বাড়ছে জনমনে। রোবট বা স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে। তাই রোবট তৈরির ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় নীতিনৈতিকতা নির্ধারণ করা নিয়ে আলোচনা চলছে। এ আলোচনা জাতিসংঘ পর্যন্ত গড়িয়েছে।

ঘাতক এই রোবট নিয়ে উৎকণ্ঠা বাড়লেও রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্রসহ এ ধরনের রোবট নির্মাতা দেশগুলো এমন চুক্তি নিয়ে আলোচনার বিরোধিতা করছে। তবে আলোচনা না এগোনোয় বিভিন্ন দেশের সরকারি কর্মকর্তা ও বেসরকারি সংগঠনের পক্ষ থেকে হতাশার কথা বলা হচ্ছে।

বর্তমানে ড্রোনের মতো আধা স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রগুলো নানা কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। যুদ্ধক্ষেত্রে এগুলোর ব্যবহার ইতিমধ্যে দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে। তবে ড্রোনের মতো যন্ত্রের নিয়ন্ত্রণ থাকে মানুষের হাতে। সে তুলনায় পুরোপুরি স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রে (ঘাতক রোবট) মানুষের হাতে কোনো ‘কিল সুইচ’ বা নিয়ন্ত্রণের সুযোগ থাকে না। এর পরিবর্তে যন্ত্রটি নিজেই তার সেন্সর, সফটওয়্যার ও কারিগরি প্রক্রিয়া ব্যবহার করে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এ ক্ষেত্রে মানুষের জীবন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।

কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরার খবরে বলা হয়, গত মার্চে জাতিসংঘের একটি প্যানেলের প্রতিবেদন প্রকাশের পর থেকে এই শিল্পের ওপর নিয়ন্ত্রণ জরুরি হওয়ার বিষয় সামনে আসে। প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রথম স্বয়ংক্রিয় ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটেছিল লিবিয়ায়।

এ সপ্তাহে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস কনভেনশন অন সার্টেইন কনভেনশনাল উইপনস (সিসিডব্লিউ) সম্মেলনে ১২৫টি পক্ষকে নতুন নীতিমালা তৈরিতে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। তবে সম্মেলনে লেথাল অটোনোমাস উইপন সিস্টেমস (এলএডব্লিউএস) তৈরি ও এর ব্যবহার ঠেকানো নিয়ে আলোচনা ব্যর্থ হয়েছে। জেনেভায় পাঁচ দিনের সম্মেলনে উপস্হিত এলএডব্লিউএসের নির্মাতা দেশগুলো অনেক শর্ত দিয়ে তাদের অসম্মতি জানিয়েছে। বিশেষ করে যন্ত্রচালিত অস্ত্রের ক্ষেত্রে তারা এ অসম্মতি জানায়।

রাশিয়া, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এলএডব্লিউএস চুক্তির বিষয়ে আপত্তি এসেছে সবচেয়ে বেশি। তবে ৬৮টি রাষ্ট্র জাতিসংঘে এ বিষয়ে আইন করার আহ্বান জানিয়েছে।

সম্মেলনের ফলাফলে হতাশা প্রকাশ করে সুইজারল্যান্ডের নিরস্ত্রীকরণবিষয়ক রাষ্ট্রদূত ফেলিক্স বাউম্যান বলেছেন, ‘বর্তমানে আলোচনায় যে অগ্রগতি, তাতে প্রযুক্তিগত উন্নয়নের গতি আমাদের আলোচনাকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে।’

ইত্তেফাক/কেকে

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন