সম্প্রতি রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় আন্তঃজেলা ডাকাত দল সক্রিয় রয়েছে এমন তথ্য পায় র্যাব। ডাকাত দলের সদস্যরা দিনের বেলায় বিভিন্ন পেশার আড়ালে থাকলেও রাত নামার সঙ্গে সঙ্গে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠে। তাদের টার্গেট থাকে স্বর্ণের দোকান, শিল্পকারখানা এবং ব্যাংকে ডাকাতি করা। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থেকে ডাকাত দলের মূলহোতাসহ ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর কাওরান বাজারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাব-১ এর অধিনায়ক (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মোমেন।
র্যাবের হাতে গ্রেফতারকৃতরা হলো- হিটু মিয়া (৪০), ফরহাদ আলী (৫৮), লিটন শেখ (৩৮), রিপন মৃধা ওরফে জামাই রিপন (২৯), স্বপন মিয়া (২৭), জাকির ব্যাপারী (২৯), জলিল খাঁন (৪০), শ্রী লক্ষণ চন্দ্র দাস (২৬), শ্রী অজিত চন্দ্র সূত্রধর (২৭),ইখতিয়ার হোসেন (৪৭),
এ সময় তাদের কাছ থেকে ২ টি বিদেশী পিস্তল, ১ টি ওয়ান শুটারগান, ১ টি শর্টগান এবং ১ টি পাইপগান, ২ টি ম্যাগজিন, ৫ রাউন্ড গুলি, ২ রাউন্ড কার্তুজসহ বিপুল দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার। এছাড়া ১০ টি মোবাইল ফোন ও ৩১ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
র্যাবের-১ এর অধিনায়ক জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে নারায়নগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানা কাঞ্চনব্রীজ এলাকায় অভিযান চালিয়ে ডাকাত চক্রের ১০ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে দেশি ও বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এই চক্রটি ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ দেশের বিভিন্ন স্থানে স্বর্ণের দোকান, শিল্পকারখানায় ডাকাতি করে নগদ অর্থ, স্বর্ণালঙ্কার এবং মূল্যবান সামগ্রী ছিনিয়ে নেয়। এই চক্রের সদস্যরা দেশের ভিন্ন ভিন্ন জেলায় বাস করে। তারা ডাকাতি করার পূর্বে পরিকল্পনা অনুযায়ী নির্ধারিত স্থানে একত্রিত হয়ে ডাকাতির পরিকল্পনা করে। প্রথমে তারা টার্গেট নির্ধারণ করে। চক্রের ২/১ জন সদস্য আশেপাশে অবস্থান নেয়। টার্গেটকৃত প্রতিষ্ঠানে ২ থেকে ৩ জন প্রবেশ করে এবং মূল দলটি মাইক্রোবাসসহ সুবিধাজনক স্থানে অপেক্ষা করতে থাকে। চক্রটি রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় ইতোপূর্বে ১১ টি ডাকাতি করেছে বলে জানিয়েছে। চক্রের সদস্যদের নামে ঢাকা, নারায়নগঞ্জ, মানিকগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলায় মামলা রয়েছে বলে জানান র্যাবের এ কর্মকর্তা।