শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

গাইনি ও অ্যানেসথেসিয়া চিকিৎসক নেই 

আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২১, ১১:০৬

শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও বিভিন্ন পদে জনবলের সংকটে সেবা ব্যাহত হচ্ছে। অত্যাধুনিক মানের নতুন অ্যাম্বুলেন্স থাকলেও নেই গাড়িচালক। অপারেশন থিয়েটার থাকলেও নেই টেকনিশিয়ান। দীর্ঘদিন টেকনিশিয়ানের অভাবে অপারেশন থিয়েটারটি ব্যবহার না করায় নষ্ট হতে চলেছে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে দ্বারিয়াপুর গ্রামে ১৯৬৮ সালে ৩১ শঘ্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি প্রতিষ্ঠিত হয়। পরে এটি ২০১৭ সালে ৩১ শঘ্যা থেকে ৫০ শঘ্যায় উন্নীত করা হয়। ৫০ শঘ্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে যেসব সুযোগ থাকার দরকার তার আংশিক কিছু রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটিতে এক জন ইউএইচএন্ডএফপিওসহ চিকিৎসক আছেন মাত্র পাঁচ জন। মেডিসিন (সার্জারি) এবং গাইনি বিভাগের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদটিও রয়েছে শূন্য। আমলসার ও শ্রীকোল ইউনিয়ন কমিউনিটি উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র না থাকায় দুই জন উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসারকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সংযুক্ত করে তাদের দিয়ে চালানো হচ্ছে চিকিৎসাসেবা। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর খুলনা বিভাগীয় ঊর্ধ্বতন কতৃ‌র্পক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী তিন জন উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসারকে কুষ্টিয়া হাসপাতালে প্রেষণে নিযুক্ত করা হয়েছে। এখানে চিকিৎসা সংকট থাকা সত্ত্বেও এক জন চিকিৎসককে মাগুরা বক্ষ্মব্যাধি হাসপাতালে প্রেষণে নিযুক্ত করা হয়েছে। চিকিৎসক ছাড়াও হাসপাতালের বিভিন্ন পদ রয়েছে শূন্য। শূন্য পদের মধ্যে সিনিয়র স্টাফ নার্স এক জন, মিডওয়াইফ একজন, মেডিক্যাল টেকনিশিয়ান (ল্যাব) একজন, মেডিক্যাল টেকনিশিয়ান (ডেন্টাল) একজন, মেডিক্যাল টেকনিশিয়ান (ফার্মাসিস্ট) দুই জন, অফিস সহকারী-কাম-মুদ্রাক্ষরিক দুই জন, ক্যাশিয়ার এক জন, পরিসংখ্যানবিদ একজন, স্টোর কিপার একজন, স্বাস্থ্য পরিদর্শক দুই জন, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক একজন, স্বাস্থ্য সহকারী ১১ জন, গাড়িচালক একজন, জুনিয়র মেকানিক একজন, এমএলএসএস দুই জন, ওয়ার্ডবয় দুই জন, আয়া একজন, নিরাপত্তা প্রহরী দুই জন, মালী একজন, কুক একজন ও সুইপার চার জন। এছাড়াও সহকারী ডেন্টাল সার্জন থাকলেও সপ্তাহে তিন দিন দায়িত্ব পালন করেন মাগুরাতে।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রঈসউজ্জামান বলেন, চিকিৎসাসেবা নিয়ে রোগীদের কিছুটা অভিযোগ রয়েছে। জনবলসংকটেও সাধ্যমতো সেবা প্রদান করা হচ্ছে। তবে সার্জারি, গাইনি ও অ্যানেসথেসিয়া চিকিৎসক না থাকায় অপারেশন থিয়েটার ব্যবহার করা সম্ভব হচ্ছে না। জনবলসংকট নিরসনের লক্ষ্যে জেলা সিভিল সার্জন অফিস ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে শূন্য পদের তালিকা পাঠানো হয়েছে। কাঙ্ক্ষিত পদে জনবল সংযুক্ত হলে স্বাস্থ্যসেবায় যথেষ্ট উন্নতি হবে। 

ইত্তেফাক/কেকে