ঝালকাঠিতে অভিযান-১০ লঞ্চে আগুনের ঘটনায় বরগুনার নিহতদের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। ২৮ টি মরদেহ বেওয়ারিশ থাকায় শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১টায় বরগুনা সদরের পোটকাখালী সরকারি গণকবরে তাদের দাফন করা হয়।
এর আগে দুর্ঘটনার পর নিহতদের মধ্যে ৩৭ জনের মরদেহ নিয়ে লাশবাহি গাড়ি শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) রাত ১২টার কিছু সময় আগে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে পৌঁছায়। সারিসারি মৃতদেহ নামিয়ে মর্গে নিয়ে যান স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রেডক্রিসেন্ট বরগুনার সদস্যরা। হাসপাতাল প্রাঙ্গনে কান্নায় ভেঙে পড়েন অপেক্ষমান স্বজনরা। শনিবার বেলা ১১ টায় বরগুনা সার্কিট হাউজ মাঠে মরদেহগুলোর জানাজা সম্পন্ন করা হয়। উপস্থিত লোকজন শোকে স্তব্ধ হয়ে যান।
বরগুনার জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান জানান, ঝালকাঠি জেনারেল হাসপাতাল থেকে মোট ৩৭ জনের মরদেহ বুঝে নেয় বরগুনা জেলা প্রশাসন। এদের মধ্যে ৯জনের মরদেহ শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন, পাথরঘাটা পৌরশহরের তালতলা এলাকার রাজ্জাক মাস্টার, বেতাগী উপজেলার রিয়াজ হাওলাদার, বরগুনা সদর ইউনিয়নের আমতলী গ্রামের জাহানারা বেগম, বামনা উপজেলার সপ্নিল, রাজিয়া সুলতানা, পাথরঘাটা চরদুয়ানি গ্রামের শিশু মায়িদা, পাথরঘাটার কালমেঘা ইউনিয়নে শিশু তাবাসসুম। এছাড়া সনাক্ত নারীর নাম মনোয়ারার বাড়ি চাঁদপুরে। তিনি বরগুনার ঢলুয়ায় জামাতার বাড়িতে বেড়াতে আসছিলেন।
নিখোঁজ ব্যক্তিদের তথ্য সম্পর্কে জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান বলেন, এখনো পর্যন্ত নিখোঁজদের নির্দিষ্ট তথ্য জেলা প্রশাসনের কাছে নেই, তবে তথ্য সংগ্রহের জন্য সেল গঠন করা হয়েছে। আমরা স্বজনদের আহবান জানিয়েছি নিখোঁজের তথ্য দিয়ে সহায়তা করতে। দু-একদিনের মধ্যে নিখোঁজ ব্যক্তিদের তথ্য জানা যাবে। যদি কেউ মরদেহের অতি নিকট আত্মীয়দের নিয়ে আসেন তাদের ডিএনএ নমুনা মিলিয়ে কবর সনাক্ত করে দেওয়া হবে।
মরদেহ হস্তান্তরের সময় বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন বরগুনা -১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শমভু, বরগুনা-২ আসনের সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমান রিমন ও বরগুনার পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট কামরুল আহসান মহারাজ প্রমূখ।