শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

মহেশখালীতে অস্ত্রসহ ৫ জলদস্যু আটক 

আপডেট : ২৭ ডিসেম্বর ২০২১, ২৩:৪০

কক্সবাজারের মহেশখালীর সোনাদিয়া চ্যানেলে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ৫ জলদস্যুকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেলে এ অভিযান চালানো হয়। 

আটককৃতরা হলেন, সোনাদিয়া পশ্চিম পাড়ার মাহমুদুল হকের ছেলে মো. রাসেল (৩২), মাতারবাড়ি ইউনিয়নের নুরুল হোসনের ছেলে ওয়াজ উদ্দীন (২৭), আবুল হোসনের ছেলে মো. সাগর (২৫), আবুল হোসনের ছেলে আবদুল মালেক (৩৫), নাজিরের টেক এলাকার মিয়া হোসনের ছেলে রোহিঙ্গা শহিদ (২৩)। 

এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি বন্দুক ও ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।  

সূত্র জানায়, কক্সবাজারের বঙ্গোপসাগরে জলদস্যুতা ফের বেড়েছে। গত একমাস ধরে মাছ ধরে ফেরা কিংবা মাছ ধরারত ফিশিং ট্রলারে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে বেশ কয়েকটি। সবচেয়ে বেশি ডাকাতির শিকার হচ্ছে মহেশখালী-কুতুবদিয়া উপকূলের ট্রলার সমুহ। জলদস্যুরা সোনাদিয়া চ্যানেলসহ সাগরের বিভিন্ন  পয়েন্টে ডাকাতি করে আসছিলো। সর্বশেষ গত ২৪ ডিসেম্বর কুতুবজুমের ঘটিভাঙ্গার আমির হোসেনের মালিকাধীন এফবি মায়ের দোয়াসহ ৪টি ট্রলারে ডাকাতি করে ১৫ জন জেলেকে আহত করে জলদস্যুরা। এঘটনার পর থেকে পুলিশ ও কোস্টর্গাড নিয়মিত তল্লাশির পাশাপাশি বিভিন্ন পয়েন্টে অভিযান চলমান রেখেছে। 
  
এদিকে, সোনাদিয়ার বাসিন্দাদের দাবি- মহেশখালী উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের বেশ কিছু লোকজন সোনাদিয়া আশ্রয় নিয়ে সাগরে ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপর্কম করছে। তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হলে সাগর নিরাপদ থাকবে। 

কুতুবজোম ইউনিয়নের সোনাদিয়া এলাকার ইউপি সদস্য একরাম মিয়া দাবি করেন, আটককৃতরা জলদস্যু। তাদের রিমান্ডে নিয়ে গেলে আরো সঠিক তথ্য বের হয়ে আসবে। 

মহেশখালী থানার ওসি আব্দুল হাই জানান, ডাকাতির প্রস্তুতির খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালায়। মহেশখালী থানার এস আই শাহাদত, এএসআই জাহেদ ও মনিষ সরকারসহ পুলিশের ১০ সদস্যদের একটি টিম। এতে আটকদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে সোনদিয়াসহ উপকূলের সব চ্যানেলে। জেলেদের জন্য সাগর নিরাপদ রাখতে জলদস্যুদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে উল্লেখ করেন ওসি। 

ইত্তেফাক/কেকে