বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

রাজমিস্ত্রি থেকে কুখ্যাত দস্যু,  নিজের নামে সন্ত্রাসী বাহিনী

আপডেট : ৩১ ডিসেম্বর ২০২১, ২১:৪৭

১৯৯০ সালে পরিবারসহ বরগুনা ছেড়ে ঢাকায় আসে কবির। প্রথমে রাজমিস্ত্রি কাজে পিতার সহযোগী ছিল কবির। পরবর্তী সময় গাড়ি চালনা এবং বিভিন্ন হাউজিং প্রজেক্টে চাকরিও করেছে। ২০১০ সালে গাংচিল সন্ত্রাসী গ্রুপে যোগ দিয়ে অপরাধ জগতে হাতেখড়ি তার। তুরাগ ও বুড়িগঙ্গা নদীতে মালবাহী নৌকা ও  ট্রলারে চাঁদাবাজি শুরু করে। অপরাধ জগতে ‘জলদস্যু’ কুখ্যাতি মেলে।

র‌্যাবের অভিযানে গাংচিল বাহিনীর অস্তিত্ব সংকটে পড়লে ২০১৬ সাল থেকে নিজের নামে দুর্ধর্ষ গ্রুপ গড়ে তোলে। বখে যাওয়া ছেলেদের নিজের গ্রুপে যোগদান করাত। মোহাম্মদপুরের ঢাকা উদ্যান, বসিলা, চাঁদ উদ্যান ও এলাকায় চাঁদাবাজি, ছিনতাই, মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপরাধে সম্পৃক্ত তার গ্রুপ। এ ছাড়াও জবরদখল, ভাড়ায় শক্তি প্রদর্শন এবং আধিপত্য বিস্তারসহ নানা অপকর্মে তাদের ব্যবহার করে কবির।

গত বৃহস্পতিবার রাতে র‌্যাব-২-এর একটি দল রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কবির গ্রুপের হোতা ও শীর্ষ সন্ত্রাসী কবির হোসেন ওরফে জলদস্যু কবির ওরফে গাংচিল কবির ও তার সাত সহযোগীকে গ্রেফতার করে। এ সময় জব্দ করা হয় একটি বিদেশি পিস্তল ও চার রাউন্ড গুলিভর্তি ম্যাগজিন, ছোরা, চাকু, স্টিলের গিয়ার হোল্ডিং ছুরি, লোহার পাইপ, চারটি চাপাতি, ৪১৭ পিস ইয়াবা এবং সাতটি মোবাইল ফোনসেট। 

শুক্রবার কাওরান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাব সদর দপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। তিনি বলেন, গত ২৩ নভেম্বর রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত অভিযোগে ‘ভাইব্বা ল কিং’ নামের একটি কিশোর গ্যাংকে  গ্রেফতার  করে র্যাব। মোহাম্মদপুরে ছিনতাই, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও মাদকসংক্রান্ত অপরাধে গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রাখে। 

 

ইত্তেফাক/ইউবি 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন