শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

জবির ফার্মেসী বিভাগে ৮ বছরের জট

আপডেট : ০৪ জানুয়ারি ২০২২, ২১:০১

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইফ অ্যান্ড আর্থ সাইন্স অনুষদের ফার্মেসী বিভাগ অনার্সে একই সঙ্গে ছয়টি শিক্ষাবর্ষের শিক্ষা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বিভাগটিতে ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত মোট ৭টি ব্যাচের শিক্ষার্থীদের ক্লাস পরীক্ষা চলছে। এতে তীব্র সেশনজটের কবলে পড়েছে এই বিভাগের শিক্ষার্থীরা। 

জানা যায়, বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের ২০১৭ সালে স্নাতক ও ২০১৮ সালে স্নাতকোত্তর শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এই বর্ষের শিক্ষার্থীরা সাড়ে ৩ বছরের জটে এখনো মাস্টার্স ২য় সেমিস্টারে আটকে আছে। একই অবস্থা ২০১৪-১৫ ও ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষেও।

বিভাগের শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন থেকেই আমরা সেশনজটের কবলে। আমাদের বিভাগের প্রতিটি ব্যাচ ৬ বছরে অনার্স ও ২ বছরের মাস্টার্স শেষ করতে হয়। নিয়মিত ক্লাস-পরীক্ষা না নেওয়া, রুটিন অনুসরণ না করা ও চেয়ারম্যানের গাফিলতির কারণে এমন জটের কবলে পড়ছেন বলে জানান তারা।

২০১৩-১৪ বর্ষের এক শিক্ষার্থী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ৬ বছরে অনার্স শেষ করছি এখনো মাস্টার্স শেষ করতে পারিনি। কার কাছে অভিযোগ দিব? শিক্ষকরা ঠিকমত ক্লাস-পরীক্ষা নেন না। ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা ২ বছরের জটে পড়েছি। ২০২১ অনার্স শেষ করেছি। এখনো মাস্টার্স শুরু করতে পারিনি। কোভিডের সময় অনলাইনে ক্লাস হলেও পরীক্ষা নিতে গড়িমসি করছে বিভাগের শিক্ষকরা।

এ বিষয়ে ফার্মেসী বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ. জেড. এম. রুহুল মোমেন বলেন, আমাদের আগে থেকে কিছুটা জট ছিল। তবে করোনার কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় এটি আরও তীব্র আকারে ধারণ করেছে। মাস্টার্সের শিক্ষার্থীরা বেশি জটের মধ্যে আছে। আশা করছি আগামী ১ বছরের মধ্যে জট নিরসন করতে পারব।

বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইফ অ্যান্ড আর্থ সাইন্স অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা চেষ্টা করেছি জট নিরসনের জন্য। এটি একদিনে তৈরি হয়নি। কোভিডের কারণে এটি মারাত্মক আকার ধারণ করছে। তবে, আমরা চেষ্টা করছি, শিক্ষার্থীদের দ্রুত পরীক্ষা নিয়ে তাদের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করার।

 

ইত্তেফাক/জেডএইচডি