মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টে বল হাতে বাংলাদেশকে ব্যাক-থ্রু এনে দিয়েছিলেন অধিনায়ক মুমিনুল হক। সেই তিনি এবার ক্রাইস্টচার্চ টেস্টেও ত্রাতার ভূমিকায়। একাই আড়াইশো রান করে ফেলা কিউই অধিনায়ক টম লাথামকে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠালেন মুমিনুল। নিউজিল্যান্ডের স্কোরও ৫০০ ছাড়িয়েছে। শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেট হারিয়ে ৫২১ রানে নিজেদের প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছে স্বাগতিকরা।
প্রথম দিন শেষে ১৮৬ রান করে অপরাজিত ছিলেন টম লাথাম। সোমবার (১০ জানুয়ারি) দ্বিতীয় দিন সেটিকে প্রথমে ডাবল সেঞ্চুরিতে এবং এরপর আড়াইশো তে নিয়ে গেলেন তিনি। পার্ট-টাইম বোলার মুমিনুল হকের বলে আউট হওয়ার আগে খেলে গেছেন ২৫২ রানের ঝলমলে একটি ইনিংস। ৩৭৩ বল মোকাবিলায় তার এই উইলোতে ছিল ৩৪টি চার ও ২টি ছয়ের মার।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চলমান ক্রাইস্টচার্চ টেস্টের প্রথম দিনটা নিশ্চয়ই ভুলে যেতে চাইবেন বাংলাদেশি বোলাররা। এদিন যে উল্লেখ করার মতো তেমন কোনো সফলতা পায়নি তারা। তবে দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনেই ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। তুলে নেয় স্বাগতিকদের ৫টি উইকেট (একটি লাঞ্চের পর)।
দ্বিতীয় দিন সকালে কিউরা ব্যাট করতে নামার সময় তাদের সংগ্রহ ছিল ১ উইকেট হারিয়ে ৩৪৯ রান। প্রথম দিন শেষে একাই ১৮৬ রান করে অপরাজিত ছিলেন স্বাগতিক অধিনায়ক টম লাথাম। অপর অপরাজিত ব্যাটার ডেভন কনওয়ে ৯৯ রান করেছিলেন। আর তাদের দুজনের জুটি ছিল ২০১ রানের। সোমবার সেখান থেকে দলীয় খাতায় আর মাত্র ১৪ রান যোগ করতেই এই রেকর্ড জুটি ভেঙে যায়।
বাংলাদেশকে প্রথম সাফল্য এনে দেন মেহেদী হাসান মিরাজ। কাভার থেকে সিঙ্গেল নিতে গিয়ে রানআউটের শিকার হয়েছেন ডেভন কনওয়ে। স্ট্রাইক প্রান্তে মিরাজের সরাসরি থ্রো স্ট্যাম্পে গিয়ে আঘাত হানে। ১৬৬ বল মোকাবিলায় ১০৯ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছেন কনওয়ে।
এর পরই ব্যাট করতে নামেন নিজের শেষ টেস্ট খেলতে নামা অভিজ্ঞ রস টেলর। এ সময় তাকে গার্ড অব অনার দিয়েছেন বাংলাদেশি খেলোয়াড়রা। কিন্তু মাত্র ২৮ রান করে ফিরে গেছেন তিনি। এবাদত হোসেনের বলে ক্যাচ ধরেছেন আরেক পেসার শরিফুল। এর কিছুক্ষণ পর আবারও এবাদতের আঘাত। এবার তার শিকার হেনরি নিকোলস। রানের খাতা খেলার আগেই উইকেটকিপার নুরুল হাসান সোহানের হাতে ক্যাচ তুলে দেন কিউই এই ব্যাটার। ড্যারিল মিচেলও কিছু করতে পারেননি। মাত্র ৩ রান করেই শরিফুল ইসলামের বলে কটবিহাইন্ডের শিকার হয়েছেন তিনি। প্রথম দিনের একমাত্র উইকেটটিও শিকার করেছিলেন এই পেসার।