ইউক্রেন নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে ন্যাটো, জাতিসংঘ এবং আমেরিকার সঙ্গে বিতর্ক চলছে রাশিয়ার। অভিযোগ, রাশিয়া ইউক্রেন সীমান্তে সেনা মোতায়েন করে রেখেছে। যুদ্ধের আবহ তৈরি করে রেখেছে। এই পরিস্থিতিতে ন্যাটো, জাতিসংঘ এবং আমেরিকা ইউক্রেনকে সমর্থন করছে। রাশিয়াকে দ্রুত সেনা সরিয়ে নেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। কিন্তু রাশিয়া তা মানতে রাজি নয়।
সোমবার জেনেভা বৈঠকে এ বিষয়ে দীর্ঘ আলোচনা হওয়ার কথা। জেনেভায় আমেরিকার সঙ্গে রাশিয়ার দ্বিপাক্ষিক আলোচনারও কথা আছে। তার ঠিক আগে অ্যামেরিকাকে রাশিয়া চাপে ফেলার চেষ্টা করছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
রবিবার রাশিয়ার ডেপুটি পররাষ্ট্রমন্ত্রী সারজেই রাবকভ বলেছেন, জেনেভায় ইউক্রেন সমস্যার সমাধান হবে বলে তারা মনে করছেন না। কারণ, আমেরিকা আগেই অনেকগুলি পূর্বশর্ত চাপিয়ে দিয়েছে। যা মেনে নেয়া রাশিয়ার পক্ষে সম্ভব নয়। রাশিয়া দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কাউকে নাক গলাতে দেবে না।
বস্তুত, ইউক্রেন নিয়ে এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের একাধিকবার কথা হয়েছে। দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে বিতর্কও হয়েছে। তবে দুইজনেই বলেছেন, আলোচনার মাধ্যমেই তারা সমাধানের রাস্তা খুঁজছেন।
এদিকে আমেরিকাসহ ইউরোপের একাধিক দেশ ইউক্রেনকে ন্যাটোর সদস্য করতে চাইছে। ইউক্রেনের দীর্ঘদিনের দাবি এটি। রাশিয়া বরাবর এ বিষয়ে ভেটো দিয়ে আসছে। সোমবারের বৈঠকে এ বিষয়েও তীব্র বিতর্ক হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। বস্তুত, রাশিয়া জানিয়ে রেখেছে, ইউক্রেনকে ন্যাটোর সদস্যপদ দিলে তার ফলাফল ভালো হবে না।ডয়েচভেলে।