শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

চালক-সহকারী ও যাত্রীদের মাস্ক ব্যবহারে অনীহা

আপডেট : ১২ জানুয়ারি ২০২২, ০৪:০০

দেশে আবারও করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। সরকারের নানা বিধিনিষেধের পরও প্রায় সর্বত্র স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়টি  উপেক্ষিত। রাজধানীর গণপরিবহনগুলোতেও একই চিত্র দেখা যাচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি না মেনে গাদাগাদি করে তোলা হচ্ছে যাত্রীদের। চালক-সহকারী এবং যাত্রীদের মধ্যে মাস্ক ব্যবহার নিয়ে রয়েছে অনীহা। আর মাস্ক পরাদের মধ্যে বেশির ভাগই থুতনিতে ঝুলিয়ে রাখছেন। বাসে নেই হ্যান্ড স্যানিটাইজার। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর কাওরান বাজার, বাংলামোটর, শাহবাগসহ কয়েকটি সড়কের বাসে ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

কাওরান বাজার সার্ক ফোয়ারা থেকে একটু সামনে শিকড় পরিবহনের চালকের সহকারী যাত্রী তোলার জন্য হাঁকডাক দিচ্ছেন। অথচ বাসে উঠে দেখা যায় প্রতিটি সিটে যাত্রী বসা। অনেকে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। এদের বেশির ভাগেরই মুখে মাস্ক নেই। মাস্ক না পরা অয়ন নামের এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা হয়। অয়ন জানান, দীর্ঘ সময় মাস্ক পরে থাকতে সমস্যা হয় তার। সেজন্য মাঝে মধ্যে খুলে রাখি।

একই স্থানে ট্রাস্ট পরিবহনে উঠে দেখা যায়, চালকের সহকারী মাস্ক না পরেই গেটে দাঁড়িয়ে যাত্রী তুলছেন। জানতে চাইলে এ সহকারী বলেন, সারা দিন গাড়িতে থাকি। সবসময় মাস্ক পরা যায় না। তাছাড়া মাস্ক পরে কথা বলতে সমস্যা হয়।

বাংলামোটর মোড়ে ফার্মগেটমুখী কয়েকটি বাসে উঠে দেখা যায় একই চিত্র। সেখানে বিআরটিসি বাসে উঠে দেখা যায়, গাদাগাদি করে যাত্রী ওঠানো হয়েছে। অনেকেরই মুখে মাস্ক নেই। নুরউদ্দিন নামের এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, মহাখালী যাবেন। মাস্ক মুখে না পরে থুতনিতে কেন-জানতে চাইলে তিনি বলেন, সবসময় পরে থাকলে দম বন্ধ হয়ে যায়।

এদিকে করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় গণপরিবহনে যাত্রী পরিবহন নিয়ন্ত্রণসহ ১১ দফা বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত কাল বৃহস্পতিবার থেকে দেশবাসীকে এসব বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে।

সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক আদেশে বলা হয়, করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনের প্রাদুর্ভাব ও দেশে করোনার সংক্রমণ পরিস্থিতি পর্যালোচনাসংক্রান্ত আন্তমন্ত্রণালয় সভার সিদ্ধান্ত, দেশের আর্থসামাজিক অবস্থা, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল রাখা এবং সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এসব বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।

বিধিনিষেধগুলো হলো বাস, ট্রেন ও লঞ্চে ধারণক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলতে হবে। আর সব ধরনের যানবাহনের চালক ও সহকারীদের আবশ্যিকভাবে করোনার টিকা সনদ থাকতে হবে।