দেশে চার ক্যাটাগরিতে ২ হাজারের বেশি আইএসপি (ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান) লাইসেন্স রয়েছে। এর মধ্যে নেশনওয়াইড ১১৪টি, বিভাগীয় পর্যায়ে ২৬০টি, জেলা পর্যায়ে ৫০টি এবং থানা পর্যায়ে ১৩০০টির মতো আইএসপি অপারেটররা সেবা দিচ্ছে। এর বাইরেও পেশীশক্তি ব্যবহার করে লাইসেন্সবিহীন অপারেটরদের মাধ্যমেও লাইসেন্সধারীদের সমান সংখ্যক প্রতিষ্ঠান এই সেবা দিচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে ন্যাশনওয়াইড বাদে তিনটি ক্যাটাগরিতে আরও ১৫৫টি ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স দিতে যাচ্ছে সরকার। এরমধ্যে বিভাগীয় ক্যাটাগরিতে চারটি, জেলা ক্যাটাগরিতে ৩০টি এবং উপজেলা বা থানা ক্যাটাগরিতে ১২১টি নতুন লাইসেন্স দিতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অনুমোদনের অপেক্ষা করছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন।
চলমান প্রক্রিয়া হিসেবে যাদের সক্ষমতা আছে তারা যোগ্যতা অনুযায়ী লাইসেন্স পাবে বলে এ বিষয়ে ইতিবাচক মত দিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।তবে নতুন লাইসেন্স দেওয়ার বিষয়টি পুনর্বিবেচনায় মত দিয়েছেন ইন্টারনেট সেবদাতাদের সংগঠন আইএসপিএবি সভাপতি ইমদাদুল হক।
তিনি মনে করছেন, বিদ্যমান লাইসেন্সই সেবা দেয়ার জন্য যথেষ্ট। বেশি লাইসেন্স দেওয়া হলে বাজার ভারসাম্য হারানোর পাশাপাশি সেবার মান নষ্ট হবে। তাছাড়া যেসব লাইসেন্সধারীরা ভালো করছে তাদের লাইসেন্সের পরিধি বাড়িয়ে জেলা ও থানা পর্যায়ে কার্যক্রম বিস্তারের পরামর্শ দেন তিনি। তা না হলে স্থানীয় পর্যায়ে পেশী শক্তির কাছে ইন্টারনেট সেবামান নিচে নেমে যাওয়ার শঙ্কা করছেন ইন্টারনেট সেবাদাতা ব্যবসায়ীদের এই নেতা।