শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

উত্তাল শাবিপ্রবি, বন্ধ ঘোষণার পরও ক্যাম্পাস ছাড়ছেন না শিক্ষার্থীরা

আপডেট : ১৭ জানুয়ারি ২০২২, ১৪:৫৭

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) হল প্রভোস্টের পদত্যাগসহ ৩ দফা দাবিতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনার প্রতিবাদে এবার উপাচার্যের পদত্যাগ চেয়ে আন্দোলনে নেমেছেন শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা ক্যাম্পাস ছাড়বেন না বলেও জানিয়েছেন। 

সোমবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের গোলচত্বরে আন্দোলন শুরু করেন। এর আগে রবিবার মধ্যরাত পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা শাবিপ্রবির ফটকে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন।

এখন একমাত্র দাবি হিসেবে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমদের পদত্যাগ দাবি করছেন শিক্ষার্থীরা।

এর আগে, রবিবার সন্ধ্যায় শাবি প্রশাসন অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস, পরীক্ষা বন্ধ করে সোমবার দুপুর ১২টার মধ্যে আবাসিক হল ছাড়ার নির্দেশ দেয়। কিন্তু শিক্ষার্থীরা এ নির্দেশকে উপেক্ষা করে এখন ভিসি পদত্যাগের দাবিতে এ অবস্থান কর্মসূচি নিয়েছে।

উল্লেখ্য, এর আগে শাবির সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রভোস্ট সহযোগী অধ্যাপক জাফরিন আহমেদ লিজার বিভিন্ন অনিয়ম নিয়ে হলটির ছাত্রীরা প্রতিবাদ করলে শাবি শাখা ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা তাদের ওপর হামলা করে। প্রতিবাদে রবিবার সকাল ৮টায় শাবির সড়ক অবরোধ করেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। পরে দুপুর ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. তুলসী কুমার দাস আন্দোলনকারী ছাত্রীদের কাছে এক সপ্তাহ সময় চান। কিন্তু ভুক্তভোগী ছাত্রীরা তা প্রত্যাখ্যান করেন ও প্রশাসনের সামনে শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার বিচার চান।

এক পর্যায়ে, অধ্যাপক তুলসী কুমার দাসসহ প্রশাসনের অন্যান্যরা কোনো সিদ্ধান্ত না জানিয়ে স্থান ত্যাগ করলে আন্দোলনকারী ছাত্রীরাও তাদের অনুসরণ করে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে এগোতে থাকেন। এ সময়ে, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ভবন থেকে শাবি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বের হলে আন্দোলনকারী ছাত্রীরা তার পথরোধ করেন। একপর্যায়ে, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইআইসিটি বিল্ডিংয়ে গিয়ে ওঠেন। সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে পুলিশ এসে রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে ও লাঠিপেটা শুরু করে।

পরে কলাপসেবল গেটের তালা ভেঙে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে ভিসিকে উদ্ধার করে। পুলিশের লাঠিচার্জ ও রাবার বুলেট নিক্ষেপে অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন বলেও জানা যায়। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় বেশ কয়েকজন পুলিশও আহত হন। এ ঘটনার প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন বিক্ষোভ মিছিল করেছে।

 

ইত্তেফাক/এসজেড