বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

বিদ্যালয় বন্ধ থাকলেও টিকা পাবে শিক্ষার্থীরা

আপডেট : ২৩ জানুয়ারি ২০২২, ১৬:২২

করোনার সংক্রমণের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সশরীর শ্রেণি কার্যক্রম আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হলেও এই সময়ে ১২-১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম চলমান থাকবে। এছাড়া অনলাইন বা ভার্চুয়ালি প্ল্যাটফর্মে শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। এই সময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কার্যালয়ও চালু থাকবে। সেখানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণার একদিন পর শনিবার এই বিষয়ে এসব বিষয়ে মোট ১১ দফা নির্দেশনা জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

নির্দেশনা অনুযায়ী, বন্ধের সময়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ বাস্তবতার ভিত্তিতে অনলাইন/ভার্চুয়াল প্ল্যাটফরম-এ শিখন-শেখানো কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে। যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে ১২-১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম চলমান থাকবে। এ ক্ষেত্রে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের আঞ্চলিক অফিস, জেলা শিক্ষা অফিস ও উপজেলা/থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস স্থানীয় প্রশাসন ও সিভিল সার্জনের সঙ্গে সমন্বয় অব্যাহত রাখবে। 

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধকালীন শ্রেণিকক্ষ, গ্রন্থাগার, গবেষণাগারসহ প্রতিষ্ঠানের সব বিদ্যুৎ, টেলিফোন, ইন্টারনেট, পানি ও গ্যাস সংযোগ নিরবচ্ছিন্ন এবং নিরাপদ রাখতে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। এ সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সব সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণ ও সামগ্রিক নিরাপত্তার বিষয়টির প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। জরুরি প্রয়োজনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষক-কর্মচারীদের দায়িত্বে নিয়োজিত রাখতে পারবেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান।

যে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রাবাস/ছাত্রীনিবাসে বৈধ আবাসিক শিক্ষার্থীরা অবস্থান করছে, তাদের সুবিধার্থে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ছাত্রাবাস/ছাত্রীনিবাসগুলো খোলা থাকবে উল্লেখ করে নির্দেশনায় বলা হয়, তবে সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে।

অধিদফতরের অধীন সব দফতর ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সব কর্মকর্তা, শিক্ষক ও কর্মচারীর অবশ্যই টিকা সনদ গ্রহণ করতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কার্যালয় যথারীতি চালু থাকবে; সেখানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালিত হবে। জাতীয় স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি ক্রীড়া সমিতির আয়োজনে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চলমান ক্রীড়া প্রতিযোগিতা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত থাকবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে বলে নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়। 

ইত্তেফাক/ইউবি