অস্ট্রেলিয়া এবং যুক্তরাজ্যে চীনের ক্রমবর্ধমান হস্তক্ষেপের বিষয়ে তিব্বতি মানবাধিকার কর্মীদের সঙ্গে একটি প্যানেল আলোচনা হয়েছে। এটি গত ২৩ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়। রেডিও ফ্রি এশিয়া (আরএফএ) তিব্বতি ভাষা পরিষেবার উদ্ধৃতি দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর তিব্বত এবং নিপীড়িত সংখ্যালঘু (জিএমপিএম) নামে একটি তিব্বতপন্থী গ্রুপ।
সংস্থা দুটি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, দুই বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী, অস্ট্রেলিয়ার কিনজোম ধোংডু এবং লন্ডন-ভিত্তিক সেরিং পাসং। তারা প্রবাসী তিব্বতিদেরকে সক্রিয়ভাবে জড়িত হওয়ার এবং চীনা শাসনকে চ্যালেঞ্জ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
কিনজোম ধোংডু হলেন প্রথম তিব্বতি-অস্ট্রেলিয়ান, যিনি অস্ট্রেলিয়ার সরকারি অফিসে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তিনি আগামীতে অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটের জন্যও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান।
ধোংডু আশা করছেন, তার প্রার্থিতা অস্ট্রেলিয়া মহাদেশ জুড়ে তিব্বতিদের সংগ্রামের চিত্রের দিকে সবার মনোযোগ আরও বাড়াবে। তবে তিনি এটাও স্বীকার করেছেন যে, পরবর্তী নির্বাচনে তার আসন পাওয়ার সম্ভাবনা কম। তবু তিনি তার নিজের সম্প্রদায় এবং অন্যদের কাছ থেকে যে বিশাল সমর্থন পেয়েছেন তার জন্য কৃতজ্ঞ।
আরেকজন তিব্বতি মানবাধিকার কর্মী সেরিং পাসং। তিনি তিব্বত ফাউন্ডেশনের প্রাক্তন পরিচালক এবং জিএটিপিএম-এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান। তিনি অনুরোধ করে বলেন, তিব্বতিরা যেন অন্যান্য নির্যাতিত গোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করে। বিশেষ করে হংকং থেকে যারা এসেছে তাদের সঙ্গে। এর মধ্য দিয়ে যেন সামগ্রিকভাবে সিসিপি শাসনকে চ্যালেঞ্জ জানায়।
তিনি আরও বলেছেন, ১৯৫৯ সালে তিব্বতিরা নির্বাসনে এসেছিল লড়াইয়ের অভিপ্রায় নিয়ে। তাই এটিকে উপেক্ষা করা উচিত নয়।