শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

বিশ্বের সব প্রান্ত থেকে দেখা যাবে পিএসএল, আর বিপিএল যেন জোড়াতালি

আপডেট : ২৭ জানুয়ারি ২০২২, ২০:৫৪

পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা আবারও বিশ্ব ক্রিকেট নিয়ন্ত্রণ করতে যাচ্ছে। যার ফল এবার আইসিসির বর্ষসেরা পুরস্কারেই দেখা গেছে। বর্ষসেরা ক্রিকেটার, বর্ষসেরা ওয়ানডে ক্রিকেটার, বর্ষসেরা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটার, বর্ষসেরা ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক এবং বর্ষসেরা নারী উদীয়মান ক্রিকেটার। মোটকথা, বড় পুরস্কারগুলোই পাকিস্তানিদের দখলে।

এর আগে গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাবর আজমের নেতৃত্বাধীন দলটির দাপট দেখেছে পুরো বিশ্ব। তাইতো আজ (২৭ জানুয়ারি) থেকে শুরু হওয়া দেশটির ফ্রাঞ্জাইজি ভিত্তিক টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) সপ্তম আসরের দিকে নজর সবার। বিশ্বের প্রায় প্রতিটি জায়গা থেকেই আসরটি দেখা যাবে।

গত ২৫ জানুয়ারি অস্ট্রেলিয়ার ফক্স স্পোর্টস চ্যানেলের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে পিসিবি। এর ফলে আগামী ২০২৩ সাল পর্যন্ত পাকিস্তান জাতীয় দলের যত খেলা আছে সব সম্প্রচার করবে তারা। একই সঙ্গে পিএসএলও সরাসরি দেখাবে চ্যানেলটি। এর মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়ার কোনো চ্যানেলে পিএসএল দেখা যাচ্ছে। এছাড়া মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর অফ্রিকায় ইতিসালাত, ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে ফ্লো স্পোর্টস, নিউজিল্যান্ডে স্কাই নিউজিল্যান্ড, যুক্তরাজ্যে স্কাই স্পোর্টস, ভারত-বাংলাদেশসহ পুরো দক্ষিণ এশিয়ায় সনি নেটওয়ার্ক, সাব-সাহারা আফ্রিকান অঞ্চলে সুপার স্পোর্টস এবং উত্তর আমেরিকায় উইলো টিভিতে দেখা যাবে পিএসএল।

বিপিএলের লোগো

এর বাইরে প্রথমবারের মতো পিএসএল সম্প্রচারের দায়িত্ব নিয়েছে বিশ্ব ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসির লাইভ ব্রডকাস্ট অনলাইন প্লাটফর্ম আইসিসি টিভি এবং ট্যাপম্যাড টিভি। এই দুটির মাধ্যমে বিশ্বের প্রতিটি কর্ণার থেকে পিএসএল সরাসরি দেখা যাবে।

অন্যদিকে, কয়েকদিন আগেই শুরু হয়েছে একই ধরনের ফ্রাঞ্জাইজি লিগ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) অষ্টম আসর। কিন্তু সাতটি আসর শেষে অষ্টম আসর শুরু হলেও এখনো যেন জোড়াতালি দিয়ে টুর্নামেন্টটি চালাচ্ছে বিসিবি। প্রায় প্রতিটি আসরেই অধিকাংশ ফ্রাঞ্জাইজি পরিবর্তন হয়। ফলে দলগুলোর নামও বদলে যায়। মোটকথা এখনো স্থায়ী হতে পারেনি বিশ্বের অন্যতম ধনী ক্রিকেট বোর্ডের চালানো এই টুর্নামেন্টটি।

এর বাইরে নিম্নমানের ব্রডকাস্ট, ডিআরএস পদ্ধতির ব্যবহার করতে না পারা, বাজে আম্পায়ারিং, বাজে কমেন্ট্রিসহ নানা অনিয়ম তো আছেই। প্রভাব পড়ছে ক্রিকেটার তৈরির পাইপলাইনেও। এই টুর্নামেন্টটির মধ্য দিয়ে যারা নজর কাড়ছেন তারা আন্তর্জাতিক আঙ্গিনায় এসে নিজেদের প্রমাণ করতে বারবার ব্যর্থ হচ্ছেন। আর বিশ্বের অনেক দেশই বিপিএল সম্প্রচার করাতে চায় না। কারণটা স্পষ্ট, টিআরপি পাওয়া যাবে না বলে। এতেই বুঝা যায়, আইপিএল, পিএসএল, বিগ ব্যাশের তুলনায় বিপিএলের মান অনেকটাই কম। খোদ বাংলাদেশের মানুষই এটা নিয়ে অতটা আগ্রহ দেখায় না।

ইত্তেফাক/টিএ