শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

১১ দফা দাবিতে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারি কারিগরি শিক্ষকদের

আপডেট : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৮:৩৩

কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরে শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনায় জড়িতদের সারাদেশের শিক্ষকদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনাসহ ১১ দফা দাবিতে আল্টিমেটাম দিয়েছে বেসরকারি কৃষি ডিপ্লোমা এসোসিয়েশনসহ কয়েকটি শিক্ষক সংগঠন। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে মঙ্গলবার ১ ফেব্রুয়ারি সকালে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ আল্টিমেটাম দেন তারা। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে শিক্ষকদের  দাবি-দাওয়া কার্যকর না হলে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারি দিয়েছেন এই শিক্ষকরা। এর আগে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শিক্ষকরা মানববন্ধন করেন।

এসময় বাংলাদেশ শিক্ষক ইউনিয়নের সভাপতি মো.আবুল বাসার হাওলাদার, মহাসচিব মো.জসিম উদ্দিন, অতিরিক্ত মহাসচিব মো. সাহেউদ্দীন প্রিন্স, বাংলাদেশ বেসরকারি কৃষি ডিপ্লোমা এসোসিয়েশনের মহাসচিব মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন ভূইয়া, বাংলাদেশ কারিগরি বিএম অধ্যক্ষ সোসাইটির মহাসচিব মোস্তফা রহমানসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনরত অবস্থায় করেন শিক্ষকরা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সাখাওয়াত হোসেন ভূইয়া বলেন, সরকার কারিগরি শিক্ষাকে এগিয়ে নেয়ার কথা বললেও কারিগরি অধিদপ্তরের কয়েকজন দুস্কৃতিকারী শিক্ষক-কর্মচারীর বেতনভাতা আটকে রেখেছে। সকল শিক্ষা বোর্ড ডিজিটালাইন করা হলেও এখানো কারিগারি শিক্ষা বোর্ডের সকল কাজ এনালগ পদ্ধতিতে করা হচ্ছে। শিক্ষকরা তাদের পাওনা চাইতে গেলে তাদের চোর অপবাদ দিয়ে শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে।

প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনরত অবস্থায় করেন শিক্ষকরা।

গত ২৩ জানুয়ারি কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরে কয়েক শিক্ষক ন্যায্য দাবি নিয়ে গেলেও তাদের শারীরিক ভাবে হেনস্থা করা হয়। অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক বিমল মিশ্র, কর্মকর্তা মোঃ কামরুজ্জামান ও সাইফুল ইসলামের অবিলম্বে অপসারণ দাবি করেন তিনি।

শিক্ষকদের দাবির মধ্যে আরও রয়েছে- অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠানগুলো কারিগরি বান্ধব, মানবিক ও ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি সম্পন্ন দক্ষ কর্মকর্তা পদায়ন করতে হবে। অধিদপ্তরকে জিজিটালাইজড করা, আবেদিত শিক্ষক-কর্মচারীবৃন্দকে কাম্য শিক্ষাগত যোগ্যতা ও বর্তমান জনবল, কাঠামোর প্রাপ্যতা বিবেচনায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে বেতন-ভাতাদি ছাড় করার দাবি জানানো হয়।

ইত্তেফাক/এএইচপি