অন্যসব ঋতুর তুলনায় শীত একটু আলাদা। শীত সবচেয়ে সুন্দর ও রোমাঞ্চকর ঋতু হিসেবে পরিচিত হওয়ার দাবি রাখে। বাংলাদেশের অন্যসব বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় দিনাজপুরের হাবিপ্রবিতে শীত অনেক বেশি। উত্তরাঞ্চলের জেলা দিনাজপুর হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত বলেই এমনটা হয়। গেলো সপ্তাহে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সর্বনিম্ন ছয় ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় । বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের জন্য এই শীত অবশ্য বেশ উপভোগ্য। শীতের ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য মন কাড়ে যে কারোর।
সবুজ ঘাসের ওপর ভোরের সূর্যের আলো হালকা লালচে রঙয়ের আলো, দূর থেকে দেখলে মনে হয় প্রতিটি ঘাসের মাথায় যেনো মুক্তদানার মতো শিশির কণা জমে আছে।
সকালবেলা শিশিরে ভেজা আর ঘন কুয়াশা চাদরে আবৃত শীতের ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য থাকে দেখার মতো। ঘন কুয়াশা ভেদ করে মিষ্টি আলোয় সকাল নামে ক্যাম্পাসে।
শীতের ঋতুতে হাবিপ্রবির প্রধান আকর্ষণ নানান প্রজাতির ফুল। প্রধান ফটক, বোটানিক্যাল গার্ডেন, প্রশাসনিক ভবন চত্বর, এম ওয়াজেদ মিয়া একাডেমিক ভবন, লিচু বাগান সংলগ্ন এলাকা, বিভিন্ন একাডেমিক ভবন সংলগ্ন চত্বর এবং হলগুলোর সামনের বাগানগুলোতে নানা প্রজাতির ফুলের দেখা মেলে।
চন্দ্রমল্লিকা, ডালিয়া, অ্যাস্টার, ডেইজি, কসমস, জিনিয়া, সিলভিয়া, গ্ল্যাডিওলাস, গাঁদা, ডালিয়াসহ নানান প্রজাতির ফুলের সৌরভে মুখরিত হয়ে যায় ক্যাম্পাস। ফুলেল ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য উপভোগ করতে ক্যাম্পাসে দর্শনার্থীদেরও দেখা মেলে।
শীতের রিক্ততায় ঝরে পড়া পত্র-পল্লবে ঝিকিমিকি করে উঠে সকালের মিষ্টি রোদ। দুপুর পেরিয়ে বিকেল হলে ক্যাম্পাসে ঢল নামে নানামুখী মানুষের পদচারণায়। হেমন্তের সাজে সজ্জিত ক্যাম্পাসে প্রকৃতির অপূর্ব লীলাভূমি দেখতে মানুষের এই কোলাহল।
দিন পেরিয়ে সন্ধ্যা নামে। সন্ধ্যায় শুরু হয় হিম শীতল বাতাস। এরপর আবার কুয়াশার চাঁদর ভেদ করে মিষ্টি আলোয় শুরু হয় নতুন আরেকটি দিনের।