ফেলে রাখা একটি প্রাণির চামড়া নিয়ে বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে ঘটেছে তুলকালাম কাণ্ড। কেউ বলছে এটি কুকুরের চামড়া আবার কেউ বলছে ছাগলের চামড়া। এ বিতর্কের অবসান ঘটাতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন সংশ্লিষ্ট এলাকার ইউএনও, পুলিশ ও সাংবাদিকরা। অবশেষে সবার ভুল ভাঙালেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মো. আমিনুল ইসলাম।
জানা গেছে, কোনও এক প্রাণির চামড়া পুঁতে রাখা ছিল উপজেলার চান্দাইকোনা মুক্তি সিনেমা হলের পাশে একটি চায়ের দোকানের সামনে ছাইয়ের স্তূপের মধ্যে। এলাকার কুকুরেরা ছাইয়ের স্তূপ থেকে চামড়াটি টেনে বের করলে জনতার নজরে পড়ে। ক্রমে সেখানে উৎসুক জনতার ভিড় উপচে পড়ে।
শুরু হয় নানান মতামত। কারো ধারণা অলক্ষ্যে কুকুর জবাই করে খাসির মাংস বলে বাজারে চালিয়ে দিয়েছে কোনও কসাই। কারো ধারণা চুরি করা ছাগল গোপনে জবাই করে মাংস নিয়ে ধরা পড়ার ভয়ে চামড়াটি চোরেরা পুঁতে রেখেছে।
ঘটনাটি নিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর রায়গঞ্জ থানার ওসি মো. শহীদুল ইসলাম ফোর্সসহ এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় উপস্থিত জনতা অপরাধীদের শাস্তি দাবি করে শ্লোগান দেয়। জনতার ভিড় বাড়তে থাকে। ইউএনও তৃপ্তিকণা মন্ডল সাংবাদিকদের কাছে এ ব্যাপারে চরম উৎকণ্ঠা প্রকাশ করে প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। তবু কেউ কোন সুরাহা দিতে পারছিলেন না।
ওসি মো. শহীদুল ইসলাম জানান, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মো. আমিনুল ইসলাম বেলা ১টার দিকে ঘটনাস্থলে এসে চামড়াটি ভালভাবে পরখ করে প্রমাণ-যোগ্য নমুনা দেখিয়ে সেটা ছাগলের চামড়া বলে ঘোষণা দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।