বৃহস্পতিবার, ০৮ জুন ২০২৩, ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

মির্জাপুরে আন্তজেলা ডাকাত দলের ৯ সদস্যসহ ২১ আসামী গ্রেফতার 

আপডেট : ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৫:১৯

ডাকাতির প্রস্তুতির সময় দেশীয় অস্ত্রসহ আন্তজেলা ডাকাত দলের ৯ সদস্য এবং বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত ১২ আসামীসহ ২১ আসামী গ্রেফতার হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাতে এবং আজ শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানা পুলিশ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এদের গ্রেফতার করা হয়। মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আলম চাঁদ তার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

গ্রেফতার ডাকাত দলের সদস্যরা হচ্ছে, ভজন (২৫), জুয়েল (২৬), সুমন (২৫), সোহেল (২৪), টিপু (২২), নাজমুল (২৬), রানা ওরফে রাজিব (২৩), লিটন (৩২) ও আব্দুর রউফ (২১)। এ সময় তাদের কাছ থেকে তিনটি চাপাতি, একটি ছোড়া, একটি চাকু, একটি লোহার রড, একটি সাবল, একটি লাইট ও রশি উদ্ধার করা হয়। এদের বিরুদ্ধে মির্জাপুর থানাসহ বিভিন্ন এলাকায় চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, খুন ও মাদকসহ একাদিক মামলা রয়েছে।

ডাকাতি মামলার বাদী ও মির্জাপুর থানার এসআই মো. মজিবুর রহমান জানান, আন্তজেলা ডাকাত দলের একটি শক্তিশালী চক্র নানা কৌশলে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কসহ মির্জাপুরের বিভিন্ন এলাকায় অপরাধ করে যাচ্ছে। গোপন সংবাদ পেয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালিয়ে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মাঝিপাড়া এলাকায় কাঠ বাগান নামত স্থানে ডাকাতির প্রস্তুতির সময় আন্তজেলা ৯ ডাকাতকে দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ডাকাতির কথা স্বীকার করেছে এবং এদের দলের সদস্য সংখ্যা ১৯ জন।  ৯ জনকে গ্রেফতার হলেও পলাতক অন্য ডাকাতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এই চক্রটি ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কসহ বিভিন্ন এলাকায় আন্তজেলা ডাকাত দলের সক্রীয় সদস্য বলে পুলিশকে জানিয়েছে। ডাকাত দলের সদস্যদের নামে মামলা দিয়ে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে কোর্টে পাঠানো হয়েছে।
 
অপর দিকে অপরাধ দমনের জন্য পুলিশ  চিরুনী অভিযান চালিয়ে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী ২ জন, মাদক মামলায় ৫ জন এবং পুলিশের ৩৪ ধারায় পলাতক ৫ জন আসামীসহ ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে। তাদেরকেও জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে ওসি মো. আলম চাঁদ বলেন, আন্তজেলা ৯ ডাকাত এবং বিভিন্ন মামলায় পলাতক ১২ আসামীসহ ২১ জন গ্রেফতার হয়েছে। নিয়মিত মামলার পর তাদরে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। অপরাধী যেই হোক কোন অবস্থায় কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। আমাদের অভিযান নিয়মিত চলবে।

ইত্তেফাক/ আরাফাত