শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

নিলুয়ার বিল যেন এক খণ্ড সাইবেরিয়া

আপডেট : ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৬:০৬

শীত প্রধান দেশ থেকে পাখায় ভর দিয়ে প্রতি বছরের মতো এবারও মানিকগঞ্জের  নিলুয়া বিলে অতিথি পাখির আগমন ঘটেছে। বিভিন্ন এলাকা থেকে পাখিপ্রেমীরা দল বেঁধে আসছেন পাখি দেখতে

শীতকাল এলেই এই নিলুয়া বিল অতিথি পাখির কিচির মিচির শব্দে মুখরিত হয়ে উঠে। বিলটি পাখির কারণে বেশ পরিচিতি লাভ করেছে। পাখির উড়ে-চলা, নীরবে বসে থাকা- মানুষকে আকৃষ্ট করে।

অতিথি পাখির উড়ে-চলা।

ওই বিলে গিয়ে দেখা যায়, শান্ত জলের বুকে কচুরিপানার সবুজ গালিচার মাঝে ঝাঁক বেঁধে ডানা মেলছে অতিথি পাখির দল। উড়ে চলা পাখির কিচির-মিচির শব্দে মুখরিত চারিপাশ। মানিকগঞ্জের এই নিলুয়া বিল প্রতিবছর শীত মৌসুমে হয়ে উঠে যেন এক খণ্ড সাইবেরিয়া। এবারও এ বিলে আবাস বেঁধেছে বিলুপ্তপ্রায় দেশীয় প্রজাতির বিভিন্ন পাখিসহ হাজারো অতিথি পাখি। তাদের মধ্যে ‘পাতি সরালি’র সংখ্যাই বেশি। এছাড়া রয়েছে পিয়াংহাঁস, রাজসরালি, গ্যাডওয়াল, লেঙজা হাঁস, বালিহাঁস, পাতিকূট, দেশী জাতের শামুকখোল, পানকৌড়ি, ছন্নিহাঁসসহ বিভিন্ন প্রজাতির নাম না জানা অতিথি পাখি। এ বছর তিব্বতীয় মানিকচক, সাইবেরিয়ান ফিদ্দাসহ অনেক নতুন অতিথি পাখি চোখে পড়ছে।

স্থানীয় বাসিন্দা মাহবুব হোসেন জানান, নভেম্বর মাসের শেষ দিকে অতিথি পাখিরা এখানে আসতে থাকে। আবার মার্চের প্রথম দিকে ফিরে যায় আপন ঠিকানায়। ৬-৭ বছর আগে থেকে এই বিলে অতিথি পাখি আসছে।

বসে আছে অতিথি পাখি।

মানিকগঞ্জ জেলা পরিবেশ রক্ষা কমিটির সদস্য সচিব লক্ষ্মী চ্যাটার্জ্জী বলেন, অতিথি পাখির বিচরণ নিরাপদ করার জন্য পাখি শিকার ও বিক্রয় বন্ধ করতে হবে। আমাদের উচিত যার যার অবস্থান থেকে সবাইকে সচেতন করা।

ঘিওর উপজেলা প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডা. মো. ফারুক হোসাইন জানান, পাখি প্রকৃতির অলংকার। এ অলংকার ধ্বংস করা মানে পরিবেশ ধ্বংস করা। প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষার জন্য পাখি রক্ষা করতে হবে।

অতিথি পাখির উড়ে-চলা।

ঘিওর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হামিদুর রহমান জানান, প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষার জন্য পাখির বিচরণ ক্ষেত্র রক্ষা করতে হবে। শুধু আইন দিয়েই পাখি শিকার বন্ধ করা যাবে না। এজন্য প্রয়োজন সবার সচেতনতা। বিলটির উন্নয়ন ও অতিথি পাখির নিরাপদ অভয়াশ্রম করার লক্ষ্যে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবগত করেছি। 

ইত্তেফাক/ইউবি