শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

পিকে হালদারসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে ১৩ মামলা

আপডেট : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০০:২২

ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড থেকে ১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগের অনুসন্ধান শেষে প্রাথমিকভাবে ৫২৩ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ১৩টি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এই ১৩ মামলায় পি কে হালদার, সিদ্দিকুর রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, পরিচালকবৃন্দ, ফাঁস ফাইন্যান্সের সাবেক এমডি রাসেল শাহরিয়ারসহ ১৪ ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। 

বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুদক প্রধান কার্যালয়ের সামনে দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেন এই ১৩ মামলার বিষয়ে সাংবাদিকদের জানান।

দুদক সচিব বলেন, দুদকের অনুমোদিত ১৩ মামলা থেকে গত মঙ্গলবার একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঐ মামলায় ফাঁস ফাইন্যান্স এর সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রাসেল শাহরিয়ার, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের (আইএলএফএসএল) সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক পি কে হালদারসহ ১৩ জনকে আসামি করা হয়। বাকি ১২টি মামলা গতকাল রুজু হয় এবং ১২টি মামলায় ৪৭৯ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। 

মাহবুব হোসেন আরও বলেন, দুদকের দায়ের করা একটি মামলায় ফাঁস ফাইন্যান্স এর সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রাসেল শাহরিয়ারকে গত মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৪টায় মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ|

দুদক সূত্র জানিয়েছে, ভুয়া ও কাগুজে প্রতিষ্ঠান অ্যান্ড বি ট্রেডিং এর নামে জাল রেকর্ডপত্রাদি প্রস্তুত করে তা সঠিক হিসাবে ব্যবহার করে অস্তিত্ববিহীন প্রতিষ্ঠানের মালিক শুভ্রা রানী ঘোষকে ঋণ প্রদান করে ৪৪ কোটি টাকা। আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে গত মঙ্গলবার পি কে হালদারসহ উক্ত প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, পরিচালকবৃন্দ, এমডি রাসেল শাহরিয়ারসহ ১৩ জন কর্মকর্তাকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। দায়েরকৃত মামলার এজাহারে বলা হয়, ভুয়া ও কাগুজে প্রতিষ্ঠান অ্যান্ড বি ট্রেডিংয়ের নামে জাল রেকর্ডপত্রাদি প্রস্তুত করে তা সঠিক হিসাবে ব্যবহার করে উক্ত অস্তিত্ববিহীন প্রতিষ্ঠানের মালিক শুভ্রা রানী ঘোষকে ঋণ প্রদান করে ৪৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিং করেন।

দুদক সূত্র আরো জানায়, মো. রাসেল শাহরিয়ার ফাঁস ফাইন্যান্স এর এমডি থাকা অবস্থায় ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে তার একক স্বাক্ষরেই প্রায় ৫০০ কোটি টাকা ঋণ প্রস্তাব বোর্ডে উপস্থাপন করে ঋণ অনুমোদন করান এবং তা পি কে হালদারের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কোম্পানিতে স্থানান্তর করেন।

যে ১৩টি প্রতিষ্ঠানে মোট ৫২৩ কোটি টাকা ঋণ প্রদান করে আত্মসাৎ করা হয়েছে সেগুলোর মধ্যে অ্যান্ড বি ট্রেডিং এর মাধ্যমে ৪৪ কোটি টাকা, ন্যাচার এন্টারপ্রাইজ এর মাধ্যমে ৪৫ কোটি টাকা, নিউট্রিক্যাল লিমিটেড এর মাধ্যমে ৩০ কোটি টাকা, এস .এ. এন্টারপ্রাইজ এর মাধ্যমে ৪২ কোটি টাকা, সুখাদা এন্টারপ্রাইজ এর মাধ্যমে ৪০ কোটি টাকা, এমটিবি মেরিন এর মাধ্যমে ৪০ কোটি টাকা, হাল ইন্টারন্যাশনাল এর মাধ্যমে ৪৫ কোটি টাকা, সন্দ্বীপ করপোরেশন এর মাধ্যমে ৪০ কোটি টাকা, দিয়া শিপিং এর মাধ্যমে কোম্পানি লিমিটেড এর মাধ্যমে ৪৪ কোটি টাকা, মুন এন্টারপ্রাইজ এর মাধ্যমে ৩৫ কোটি টাকা, বর্ণ এন্টারপ্রাইজ এর মাধ্যমে ৩৮ কোটি টাকা, আরবি লিমিটেড এর মাধ্যমে ৪০ কোটি টাকা ও মেরিন ট্রাস্ট এর মাধ্যমে ৪০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।

ইত্তেফাক/এমএএম