শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

পাণ্ডব ছাড়াও চ্যাম্পিয়ন হওয়া যায়, প্রমাণ করলো কুমিল্লা

আপডেট : ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৫:৫৫

গত প্রায় এক দশক ধরে বাংলাদেশের ক্রিকেট মানেই যেন পঞ্চপাণ্ডবের খেলা। মাশরাফি বিন মর্তুজা, সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ক্রিকেট বিশ্বে বাংলাদেশের সাফল্যের নায়ক ঘুরেফিরে এই পাঁচ জনই। মাঝেমধ্যে এর বাইরেও কেউ কেউ নায়ক হয়েছেন, কিন্তু সেটা খুব কমই। এখনো দলের সাফল্যের জন্য তাদের ওপরই নির্ভর করতে হয়।

যার প্রভাব দেখা যায় দেশের ঘরোয়া টুর্নামেন্টগুলোতেও। বিশেষ করে বিপিএলে তাদেরকে নিজেদের দলে পেতে ফ্রাঞ্জাইজিগুলোর মধ্যে এক ধরনের প্রতিযোগিতা হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে যেন ব্যাতিক্রম কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। বিপিএলের সবচেয়ে সফল এই দলটি এবার কোনো পাণ্ডব ছাড়াই রেকর্ড তৃতীয়বারের মতো শিরোপা ঘরে তুলেছে। ফাইনালে তারা হারিয়েছে অন্যতম বড় পাণ্ডব সাকিব আল হাসানের দল ফরচুন বরিশালকে।

অন্যদিকে, কুমিল্লার অধিনায়ক জাতীয় দলের বাইরে থাকা ইমরুল কায়েস। এই দলে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে রয়েছে লিটন দাস, মুস্তাফিজুর রহমান, মাহমুদুল হাসান জয় ও মুমিনুল হক। আর বাকি দেশিরা সব ঘরোয়া ক্রিকেটের নিয়মিত পারফর্মার। এই ক্রিকেটাররা কুমিল্লাকে চ্যাম্পিয়ন করাতেও বড় ভূমিকা রেখেছেন। মুস্তাফিজুর রহমান হয়েছেন টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী বোলার।

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের কর্ণধার নাফিসা কামাল ও প্রধান কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন

এদিকে, গতকাল (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিপিএল ফাইনাল শেষে সংবাদ সম্মেলনে পঞ্চপাণ্ডবের প্রসঙ্গটিও ওঠে আসে। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের কর্ণধার নাফিসা কামালকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হয়। জবাবে তিনি যেন একটু অবাকই হলেন। তার কাছে পাণ্ডব বলতে কোনো কিছু নেই। এমনকি আগামী মৌসুমেও পঞ্চপাণ্ডব ছাড়া দল সাজাবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে নাফিসা কামাল বলেন, ‘পাণ্ডব কী? আমাদের ডিকশনারিতে পাণ্ডবই নেই। এখনো পাণ্ডব নিয়ে কথা বলেন আপনারা? আজকের পরও?’

বিপিএলের সবচেয়ে সফল ফ্রাঞ্জাইজিটির মালিক বলেন, তার কাছে দেশি কোচ ও ক্রিকেটারদের ক্ষেত্রে দলের পুরনো সদস্যের ওপর আস্থা রাখতেই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, ‘আমরা একটা পরিবারের মতো। পরিবারের বাইরে সুপারস্টারদের নিয়ে কীভাবে চালাব? আগে আসে পরিবার, সুপারস্টার পরে। সুপারস্টাররা দলের জন্য বোনাস।’

ইত্তেফাক/টিএ