জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা জানিয়েছে যে, ইথিওপিয়ার উত্তরের আফার অঞ্চলের একটি শরণার্থী শিবির হামলার শিকার হওয়ার দুই সপ্তাহ পরেও, সেই শিবিরে আশ্রিত ইরিত্রিয়ার হাজার হাজার শরণার্থীর অবস্থান সম্পর্কে কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি।
ফেব্রুয়ারির ৩ তারিখে সশস্ত্র ব্যক্তিরা বারাহলে শরণার্থী শিবিরে প্রবেশ করে। এর ফলে সেখানে বসবাসকারী ইরিত্রিয়ার ২১,০০০ শরণার্থী প্রাণ ভয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যান। ৪ হাজার জনেরও বেশি দীর্ঘ পথ পায়ে হেঁটে পাড়ি দিয়ে আফার এর আঞ্চলিক রাজধানী সেমেরা পর্যন্ত পৌঁছান।
সেখানে পৌঁছানোর পর শরণার্থীরা জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা, ইউএনএইচসিআর-কে বলেন যে, সশস্ত্র অনুপ্রবেশকারীরা তাদের জিনিসপত্র কেড়ে নেয় এবং তাদের বাড়িঘর দখল করে ফেলে। তারা জানায় যে অন্তত পাঁচজন শরণার্থী নিহত হয়েছেন এবং কয়েকজন নারীকে অপহরণ করা হয়েছে।
ইউএনএইচসিআর এর মুখপাত্র বরিস চেশিরকভ বলেন, শিবিরটি ছেড়ে পালানোর বিশৃঙ্খলার মধ্যে পরিবারের সদস্যরা একে অপরকে হারিয়ে ফেলেন। ইরিত্রিয়ার হাজার হাজার শরণার্থী আশ্রয়দানকারী পরিবারগুলোর সাথে বসবাস করছেন, কিন্তু নিখোঁজ থাকা আরও হাজার হাজার মানুষ সম্পর্কে কিছুই জানা যায়নি।
চেশিরকভ বলেন যে বিভিন্ন সংস্থা শরণার্থীদের আশ্রয়, ত্রাণ সামগ্রী, খাদ্য ও পরিষ্কার পানি সরবরাহ করছে। সবচেয়ে দুর্বল শরণার্থী, পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া শিশু ও অন্যান্যদের শনাক্ত ও সহায়তার জন্য সুরক্ষা ডেস্ক স্থাপন করা হয়েছে।