শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যের ধান

আপডেট : ২২ মার্চ ২০১৩, ২২:২৪
‘‘আমার বাড়ি যাইও বন্ধু বসতে দিবো পিড়া, জলপান করতে দেব শালি ধানের চিড়া, শালি ধানের চিড়ারে ভাই বিন্নি ধানের খই, বাড়ির গাছের সবরি কলা গামছা বান্ধা দই ’’- লোক ছড়ায় এমন ধান বন্দনা এখনও অতীতে নিয়ে যায় আমাদের। এসব চালের তৈরি সুুস্বাদু পিঠা-পায়েস, খই-মুড়ি ও ভাতের গন্ধ এবং স্বাদ ছিলো অসাধারণ। প্রাচীনকাল থেকেই বাংলায় নানা জাতের ধান চাষ হয়ে আসছে। সংশ্লিষ্টদের তথ্য অনুযায়ী, এ দেশে ১৫ হাজার জাতের ধান আবাদ হতো। ঐতিহ্যবাহী রাজভোগ, দুধরাজ, পঙ্খিরাজ এসব ধানের আলাদা-আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিলো। রাজভোগ ধানের চাল চিকন, বেশ লম্বা এবং ভাত ধবধবে সাদা। আবার দুধরাজ ধানের চাল ব্যবহার হতো পিঠা-পায়েস তৈরিতে। পঙ্খিরাজ ধানের চাল খৈ, মুড়ি, চিড়া তৈরির জন্য ব্যবহার হতো। অন্যদিকে ৮০ সালের দিকেও দেশের দক্ষিণাঞ্চলে বেশ কিছু আমন ধান চাষ হতো যেগুলো পানির সাথে বেড়ে উঠতো। এগুলোর মধ্যে রয়েছে দলকচু, খুইয়েমটর, শ্রীবালাম । আবার নদী বা খালের তীরবর্তী নিম্নভূমিতে চাষ হতো জলি বা জাগলি ধান। জমিতে পানি অবস্থায় রোপণ এবং পানিতেই কর্তন করা হতো যার ফলে এর নাম করা হয় জলি ধান। একেবারে বিলুপ্তি ঘটেছে এ জলি ধানের। চাঁপাইনবাবগঞ্জের ঐতিহ্য সুগন্ধি ‘রাঁধুনী পাগল’। অনেক আগে বরেন্দ অঞ্চলে এ ধানের চাষ হতো। কিন্তু উচ্চফলনশীল ধানের প্রচলনে অনেকটা হারিয়ে যায় দেশি জাতের এ ধানটি। প্রবীণ চাষিরা জানান, ‘এ ধানের চালের ভাত রান্নার সময় এর সুগন্ধে পাশে বসে থাকা রাঁধুনীর পাগল হওয়ার উপক্রম হয়। রাঁধুনীদের তাই খুব পছন্দের ধান এটি। গ্রামের এক বাড়িতে রান্না করা হলে আশপাশের বাড়ি থেকেও এর সুগন্ধ পাওয়া যায়। ভাত খেতেও অত্যন্ত সুস্বাদু। নেত্রকোনায় বসবাসকারী হাজং, গারো, রাংসা, সাংমা, মান্দা ও দারিং ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর লোকেরা দলবদ্ধভাবে বিন্নি ধান চাষাবাদ করে থাকেন। সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে এ ধানের আবাদ কমতে শুরু করেছে। সামাজিক ও সাংস্কৃতিকভাবে বিন্নি ধান গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক কাজে বিন্নি ধান অপরিহার্য। দিনাজপুরের ঐতিহ্যবাহী কাটারীভোগ। মসজিদে মসজিদে মিলাদ ও ঘরে ঘরে লক্ষ্মীনারায়ণ পূজার মাধ্যমে নবান্নের উত্সবের সূচনায় কাটারীভোগের চাল ব্যবহার হতো। স্বাদ ও গন্ধে অতুলনীয় এ চাল ছুরি যেমন মাথার দিকে চোখা ও একটুখানি বাঁকা, কাটারীভোগ ধানও দেখতে ঠিক তেমনি এবং সুগন্ধি। কথিত আছে, এই উন্নত ধানের চাল দিয়ে দেবতাকে ভোগ দেয়া হতো বলেই এর নামকরণ করা হয়েছে ‘কাটারীভোগ’। উপঢৌকন হীরা,পান্না, স্বর্ণ মুদ্রা পেয়ে তত্কালীন সম্রাট যত না খুশি হতেন, তার চেয়ে বেশি খুশি হতেন কাটারীভোগ চাল পেয়ে। বরিশালের বানারীপাড়ার দেড়শ’ বছরের ঐতিহ্যবাহী বালামের ব্যবসা জৌলুস হারিয়েছে। অথচ এক সময় বানারীপাড়ার বালাম চালের সুখ্যাতি ছিলো দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বহির্বিশ্বেও। বানারীপাড়ার মলঙ্গা, নলেশ্রী ও ব্রাহ্মণকাঠী গ্রাম বালাম চালের জন্য বিখ্যাত ছিলো। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে চাল ব্যবসায়ীরা বানারীপাড়ায় এসে চাল ক্রয় করে তাদের এলাকায় নিয়ে যেতেন। বালামের স্থানীয় জাতের মধ্যে সীতাভোগ, জয়না, নলডোক, রূপের শাইল, লোতরমোটা, কুরিয়ারগালী, কুরিশাইল, কাজল শাইল, রাজশাইল, কুটিআগনি, বেতিচিকন, কেয়া মৌ, কেরাঙ্গাল, বাঁশফুল, ডিঙ্গামনি ও লক্ষ্মীবিলাস। সচ্ছল ও শৌখিন কৃষকরা নিজেদের খাওয়া বা অতিথি আপ্যায়নের জন্য এখনো অল্প পরিমাণে বালাম ধান চাষ করেন। বরিশাল, বরগুনা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি এবং পিরোজপুর জেলায় এক সময় বালাম ধানের চাষ হতো। পটুয়াখালীর উপকূলের বাঁধের বাইরে যেসব জমিতে এখনো জোয়ার-ভাটা হয় সেখানে বালাম ধানের আবাদ হয়। হাওরাঞ্চলে সুস্বাদু ও সুগন্ধি কাব্যিক ধান-‘ঝরাবাদল, বাঁশফুল, বর্ণজিরা, তুলসীমালা, গাজী, জোয়ালকোট, মধুমাধব, খাসিয়া বিন্নি, হলিনদামেথি, দুধজ্বর’ স্থানীয় সংস্কৃতি, ইতিহাস ও ঐতিহ্যেরও প্রতিনিধিত্বের পরিচয়বাহী। এসবের অধিকাংশ আর দেখা যায় না। এভাবে দেশের প্রতিটি জেলা উপজেলার গ্রামগুলোতে ভিন্ন ভিন্ন স্বাদের ধানের আবাদ হতো। কিন্তু এসব ধান উত্পাদনের সাথে জনসংখ্যা বৃদ্ধির তাল মেলাতে না পেরেই গবেষণার মাধ্যমে অধিক উত্পাদনশীল ধানের দিকে ঝুঁকছে দেশ ও দেশের কৃষকরা। আর এ কারণেই হারিয়ে গেলো হাজার প্রকারের ঐতিহ্যবাহী ধান। দেশের বিভিন্ন স্থানে আবাদ হতো গৌরীকাজল, নোড়াই সাটো, পরাঙ্গি দীঘা, হাসবুয়ালে, ভোরানটা, মানিকদীঘা, খৈয়ামটর, দলকচু, পঙ্খিরাজ, বাঁশিরাজ, ঝিঙেঝাল, দেবমনি, দুধমনি, কালাবায়রা, ধলাবায়রা, গন্ধকোস্তের, আশ্বিন দীঘা, আশ্বিন মালভোগ, দুধকলম, বানাজিরা, সাধু টেপি, রংগিলা, নলবিরণ, সোনা রাতা, লতাবোরো, লতাটেপি, চন্দ ী, বাঁশফুল, তুলসীমালা, ঠাকরি, লালটেপি, বিকিন, গজারি, বর্ণজিরা, কচুশাইল, অসিম, বিদিন, ফটকা, কাউলি, দুধজ্বর, বাজলা, বিরল, আশা, গাজী, কইতাখামা, জোয়ালকোট, মাতিয়ারি, ময়নাশাইল, গোয়াই, মুগবাদল, চেংরামুরি, ময়নামতি, পুঁথিবিরণ, ঝরাবাদল, মধুবিরণ, মধুবাধব, ফুলমালতি, কলারাজা, খাসিয়া বিন্নি, গান্ধিশাইল, সোনাঝুরি, হাতকড়া, ঘোটক, চাপরাস, ঠাকুরভোগ, মুরালি, দুমাই, বগি । এগুলো এখন খুব কম পরিমাণ জমিতে আবাদ হয়। আউশ, রোপা আমন এবং বোনা আমন প্রজাতির এসব ধানের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে —আড়াই, চেংড়ি, বাউরস, নাজিমুদ্দিন, লাটিসাইল, বালাম, ভুতুবালাম, মুরালী, কাতিছিনি, নিহি, খৈসা, পশুআইল, ছিরমইন, পাখবিরনী ও দুধকাতারীসহ। কয়েক হাজার প্রজাতির ধান ছিলো যেগুলোর নাম বিস্মৃতির আড়ালে ঢাকা পড়ে গেছে। বাংলাদেশে বিভিন্ন স্থানে কালিজিরা, বাসমতি, গোবিন্দভোগ, বাদশাভোগ, খাসকানি, রাঁধুনী পাগল, রানি-স্যালুট, চিনিগুঁড়াসহ হাজার রকমের ধানের জাত সামান্য পরিমাণ জমিতে আবাদ হয়। ধানের পুরনো কথা: রায়েদা জাতের ধান জংলি আমন নামে পরিচিত ছিলো। বীজে কোন সুপ্তিকাল ছিলো না। বীজ বুনলেই চারা গজিয়ে যেতো। জংলি ধান বাইশ- বিশ, গাবুরা, বাজাইল, দীঘা প্রভৃতি ধান চাষি বাছাই করে জাত তৈরি করে নেয়। রায়েদা থেকে বাছাই করা হয় বুনো আমনের অন্যান্য জাতগুলো। বোনা আমনের জাতগুলোর মধ্যে যেগুলো বন্যা সহ্য করতে পারতো না, সেগুলো বাছাই করে রোপা আমন জাত তৈরি করা হয়। গভীর পানির ধান কালো আমন ও লক্ষ্মীদীঘা। এ জাত থেকে জোয়ালভাঙ্গা, বাদল, কার্তিকা প্রভৃতি জাতের উদ্ভব হয়। পরবর্তীতে তিলক কাচারি ধানের জাতের উদ্ভব হয়। এ তিলক কাচারি থেকে আশ্বিনা বা ভাদুইয়া এবং পরবর্তীতে শাইল ধানের জাতের আবিষ্কার হয়। এ থেকে ইন্দ শাইল, দুধসরা, ঝিঙ্গাশাইল, দাদখানী বা কাটারীভোগ ধানের উদ্ভব হয়। নানা বিবর্তনের মধ্যদিয়ে কালিজিরা, চিনিগুঁড়া, বাদশাভোগ কাশকাখি ও রাঁধুনী পাগল প্রভৃতি সুগন্ধি পোলাও-এর চালের উদ্ভব ঘটে। ভাদুইয়া বা আশ্বিনা জাতের ধানগুলো থেকে সৃষ্টি হয় আউশের জাতসমূহ। আউশ ধানের জীবনকাল কম, শাইল বা রোপা আমনের জীবনকাল বেশি। শীষ বের হয়ে ফুল ফোটার সময় দিনের দৈর্ঘ্য কম হতে হবে। এ জন্য রোপা আমনকে বলা হয় আলোক সংবেদনশীল। আর আউশের জাতসমূহ আলোক সংবেদনহীন। রায়েদা জাতের যে সব ধানের বৈশাখ মাসে শীষ বের হতো, তা থেকে বোরো ধানের উত্পত্তি হয়। ক্রমবিবর্তনের মাধ্যমে চাষিরা তাদের চাহিদা মাফিক হাজার হাজার জাতের ধানের জাত উদ্ভাবন করে। ১৯৩০ সালের এক জরিপ থেকে জানা যায়, অবিভক্ত বাংলায় সে সময় প্রায় ১৫ হাজার জাতের ধান ছিলো। হারিয়ে যাবার কারণ: প্রাচীনতম দেশীয় জাতের এসব ধানচাষ অপেক্ষাকৃত কম লাভজনক। ফলে গবেষণালব্ধ উচ্চফলনশীল (উফশী) জাতের ধানচাষ বেশি লাভজনক হওয়ার সে দিকে ঝুঁকে পড়েছেন কৃষকেরা। যে কারণে দেশ থেকে ক্রমেই বিলুপ্তি হয়ে যাচ্ছে প্রকৃতিবান্ধব এ সব ধান । কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৫০-৫১ সালে চালের মোট উত্পাদনের পরিমাণ ছিলো ৬২ লাখ টন। বীজ ও অপচয় বাবদ শতকরা ১০ ভাগ বাদ দেয়ার পর চালের নীট প্রাপ্যতা ছিলো ৫৫ লাখ ৮০ হাজার টন। লোকসংখ্যা ছিলো ৪ কোটি ২১ লাখ। দৈনিক মাথাপিছু ৪৫৪ গ্রাম হিসাবে খাদ্যশস্যের চাহিদা ছিলো ৬৭ লাখ ৩০ হাজার টন। ১৯৬৫ সাল থেকে ১৯৭৫ দেশে চালের উত্পাদনের বার্ষিক পরিমাণ ছিলো এক কোটি ৭ লাখ টন। ত্রিশ বছর পর গত অর্থ বছরে (২০১১ - ২০১২ ) দেশে চাল উত্পাদনের পরিমাণ ছিলো ৩ কোটি ৩৫ লাখ ৪১ হাজার ১০১ টন। ১৯৫১ থেকে ২০১২ সাল। ৬১ বছরের ব্যবধানে চালের উত্পাদন বেড়েছে দু’ কোটি ৭৩ লাখ ৪১ হাজার ১০১ টন। অথচ আবাদী জমির পরিমাণ প্রতি বছরই কমছে। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের গবেষকরা বলেছেন, যদি স্থানীয় জাত আবাদ হতো তাহলে ৩ কোটি ৩৫ লাখ টন চাল উত্পাদন করা যেতো না। দেশীয় জাতের ধান অবাদ থেকে উফশী ধানচাষে ফলন বেশি এবং লাভজনক। দেশি জাতগুলো বিলুপ্তির প্রধান কারণ হচ্ছে উত্পাদন স্বল্পতা। আগে দেশি জাতের ধানের বিঘা প্রতি ফলন হতো ৪-৫ মণ। বিগত শতকের ষাটের দশকে উচ্চফলনশীল জাতের ধান উদ্ভাবন শুরু হয়। এ সকল জাতের ধানের বিঘা প্রতি ফলন ২০-২২ মণ হতে থাকে। আর চাষি দেশি জাতগুলো ছেড়ে উচ্চফলনশীল জাতের ধান চাষে ঝুঁকে পড়তে থাকে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে বাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ, রাস্তাঘাট তৈরিসহ নানাবিধ কারণে আবাদী জমি কমে যাচ্ছে। এ কারণে চাষি একই জমিতে অধিক ফসলের চাষে ঝুঁকছে। আগের দিনে এক জমিতে বছরে একটি ফসল ফলতো। একবার মাত্র ধান ফলানো যেত। এখন বছরে দু’ বার ধান চাষ করা যায়। কোন কোন জমিতে ৩ বার ধান চাষ হচ্ছে। চাষি খুঁজছে স্বল্প জীবনকালের জাত। যাতে আমন কাটার পর একই জমিতে বোরো চাষ করা যায়। সে জমিতে মাঝখানে আউশ এবং আউশ কেটে রোপা আমন চাষ করা যায়। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মোঃ সাইদুল ইসলাম বলেন, এই প্রতিষ্ঠানের জিন ব্যাংকে ৮ হাজার প্রজাতির ধান সংগ্রহে আছে। এরমধ্যে ৬ হাজার দেশি জাতের এবং ২ হাজার বিদেশি জাতের। এসকল জাতের সাথে ক্রস করে উচ্চফলনশীল জাতগুলো উদ্ভাবন করা হচ্ছে। তিনি জানান, এপর্যন্ত উচ্চফলনশীল ৬১টি এবং ৪টি হাইব্রিড জাত অবমুক্ত করা হয়েছে। এ সব জাতের সবগুলো জাত এখন চাষ হয় না। ৮০’র দশকে উদ্ভাবিত বি আর-১০ ও বি আর- ১১ জাত দুটি দীর্ঘদিন ধরে চাষ হচ্ছে। বি আর-২৮ ও বি আর- ২৯ জাত চাষিদের কাছে খুবই পপুলার। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বি আর-২৯ জাত ধান উত্পাদনকারি দেশগুলোতে ছড়িয়ে পড়েছে। কৃষি গবেষকরা বলছেন, পুরানো ধানগুলোর মধ্যে খরাসহিষ্ণু, বন্যা প্রতিরোধী কিংবা লবণাক্ততা প্রতিরোধী ধানও থাকবে। আমাদের দরকার হবে ঐতিহ্যের সঙ্গে আধুনিকতার সমন্বয়। হাজার জাতের ধানের বৈচিত্র্যের জিনগত কারণ খুঁজে বের করা। আমাদের ঐতিহ্যবাহী অনেক ধান এখন জয়দেবপুরসহ বিভিন্ন স্থানে সংরক্ষিত রয়েছে। একটু উদ্যোগ নিলেই হয়তো এগুলো আবার মাঠে ফিরিয়ে নিতে পারব। বাংলাদেশের কমবেশি ৮৭ হাজার গ্রামের প্রতি সাত-আটটি গ্রামে যদি এক জাতের ধান চাষ করা হয়, তা হলেই আমরা ১০ হাজার জাতের ধানকে টিকিয়ে রাখতে পারব। কাজটা মোটেই কঠিন নয়। ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানী ড. খালেকুজ্জামান বলেন, ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের জিন ব্যাংকে যে জাতগুলো রয়েছে এগুলো ব্যবহার করে নতুন জাতের ধান উদ্ভাবন করা হচ্ছে। গবেষণার জন্যই জিন ব্যাংকে জাতগুলো সংরক্ষণ করা হয়েছে। রিপোর্ট তৈরিতে সহযোগিতা করেছেন ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি বিমল সাহা, লিটন বাশার ও মতিউর রহমান।