সড়কের মধ্যে বালির স্তূপ। পাশেই ডোবা। ডোবার পানি চুইয়ে পড়ে কর্দমাক্ত হচ্ছে সড়ক। যেন কিছুক্ষণ আগেই বৃষ্টির কারণে পানি জমে আছে সড়কে। এটি শ্যামলী শিশুমেলার পাশে টিবি হাসপাতালের সামনের চিত্র। সড়কে দীর্ঘদিন খুঁড়ে রাখার কারণে দুর্ভোগে পড়ছে এই সড়কে চলাচলকারীরা। বিশেষ করে হাসপাতালে আগত রোগীরা বেশি ভোগান্তিতে পড়ছে।
জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও টিবি হাসপাতালের সামনের সড়কের অবস্থা বেশি বেহাল। এ ছাড়া শ্যামলী থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত সড়কের বর্ধিত অংশের কাজের কারণে ভোগান্তি আরো বেড়েছে। কাজ বহুদিন আগে শুরু হলেও থেমে থেমে দীর্ঘসূত্রিতার কারণে ঝুলে আছে কাজ। এই সড়কের পাশের দোকানদার শামীম হোসেন জানান, তিন থেকে চার মাস হলো এখানে এভাবে বিশাল ডোবার মতো পানি জমে আছে। সড়কের কাজ চলায় এটি এভাবে খুঁড়ে রাখা হয়েছে। টিবি হাসপাতালের গেটের সামনে এমনভাবে খুঁড়ে রাখা হয়েছে যে ঐ গেট দিয়ে কারো প্রবেশ করা সম্ভব না। হাসপাতালে প্রবেশ করতে হলে অন্য গেট ব্যবহার করতে হচ্ছে।
এ ছাড়া জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের গেটের সামনেও একই অবস্থা। ওখানে কোনো রকম পানির ওপর দিয়ে গেটে প্রবেশ করার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কে দীর্ঘদিন এভাবে খুঁড়ে রাখার কারণে মানুষের ভোগান্তির যেন শেষ নেই। হাসপাতালে আসা এক রোগী জানান, অসুস্থ মানুষ এমনিতেই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত থাকে। তারা এমন বাজে অবস্থার মধ্যে কীভাবে হাসপাতালে প্রবেশ করবে সেটি বিবেচনা করবে কে? পুরো সড়ক এলোপাতাড়ি খনন করার ফলে স্বাভাবিকভাবে হাঁটাও যায় না এই এলাকায়। সামিয়া নামে এক রোগী জানান, বিক্ষিপ্তভাবে সড়কে এমন খোঁড়াখুঁড়ি করা হয়েছে যে—এখানে যে তিন-চারটি হাসপাতালের রোগীরা যাতায়াত করে সেটি কারোরই চিন্তায় নেই। একটি অসুস্থ রোগী নিয়ে আসাও তো মুশকিল এখানে।
সড়কের একপাশে এমন খোঁড়াখুঁড়ির কারণে এই এলাকায় যানজটও বেড়ে গেছে। সড়ক সংকুচিত হওয়ায় হাসপাতালের সামনে দীর্ঘ সময় যানজটে আটকে থাকছে যানবাহন। এতে এই সড়কে চলাচলেও বেড়েছে ভোগান্তি। যার কারণে দ্রুত উন্নয়ন কাজ শেষ করে স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন পথচারীরা।
এ বিষয়ে উত্তর সিটি করপোরেশনের ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফোরকান হোসেন বলেন, প্রকৌশল বিভাগ এ বিষয়ে ভালো বলতে পারবে । এ বিষয়ে জানার জন্য উত্তর সিটি করপোরেশনের অঞ্চল-৫-এর নির্বাহী প্রকৌশলী শফিউল আলমকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন ধরেননি।