বৃহস্পতিবার, ০৮ জুন ২০২৩, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যথাযোগ্য মর্যাদায় স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত

আপডেট : ২৬ মার্চ ২০২২, ১৯:১৬

দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে। দিবসের প্রথম প্রহর থেকেই স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। ছবি: ইত্তেফাক

ইত্তেফাকের জাবি সংবাদদাতা আরিফুজ্জামান উজ্জল জানিয়েছেন, শনিবার (২৬ মার্চ) সকালে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (রুটিন দায়িত্ব) ও উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মো. নূরুল আলম শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক শেখ মো. মনজুরুল হক, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক রাশেদা আখতার, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ ও ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান প্রমুখ।

অধ্যাপক মো. নূরুল আলমের শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি, মহিলা ক্লাব, অফিসার সমিতি, কর্মচারী সমিতি, কর্মচারী ইউনিয়ন, বিভিন্ন আবাসিক হল ও  বিভাগের পক্ষ থেকে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

এদিকে বেলা ১১টায় দিবসটি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনের সেমিনার কক্ষে শিক্ষার্থী কল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্রের আয়োজনে ‘বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক রচনা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের লাইলাতুল আজমী তানহা প্রথম, নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের আশিকুজ্জামান আরমান এবং ভূতাত্ত্বিক বিজ্ঞান বিভাগের নূসরাত জাহান তৃতীয় স্থান অর্জন করেন।

অধ্যাপক মো. নূরুল আলম বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও বাংলাদেশের সঙ্গে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম ওতপ্রোতভাবে জড়িত। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ এক এবং অবিচ্ছেদ্য। বর্তমান প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা বঙ্গবন্ধুর জীবন ও রাজনৈতিক দর্শন সম্পর্কে পড়াশোনা করছে। বঙ্গবন্ধুর প্রতি বর্তমান প্রজন্মের আগ্রহের মধ্যদিয়ে তাঁর আদর্শ ও দর্শন প্রবাহিত হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক শেখ মো. মনজুরুল হক ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক রাশেদা আখতার। এর আগে, সূর্যোদয়ের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে উপাচার্য (রুটিন দায়িত্ব) ও উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মো. নূরুল আলম জাতীয় পতাকা এবং উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক শেখ মো. মনজুরুল হক বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন করেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক রাশেদা আখতার, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ ও ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন, হল সমূহ ও বিভিন্ন গেইটসহ বিভিন্ন স্থানে আলোকসজ্জা করা হয়েছে।

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে একুশজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। ছবি: ইত্তেফাক

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাবিহা তাসনিম বিন্তি জানিয়েছেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদানের মধ্য দিয়ে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে। শনিবার (২৬ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মোহাম্মদ ইদ্রিস অডিটোরিয়ামে  নোবিপ্রবিতে কর্মরত শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা- কর্মচারীদের পরিবারের জীবিত একুশজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা প্রদান ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন নোবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. দিদার-উল-আলম। তিনি বলেন, ‘বাঙালির দীর্ঘ আন্দোলন- সংগ্রামের ফসল আজকের এই স্বাধীনতা। যা অনেক ত্যাগের মাধ্যমে অর্জিত হয়েছে। আমাদের সবাইকে এই স্বাধীনতা সমুন্নত রাখতে হবে। পাকিস্তানিদের মাধ্যমে আমরা নানাভাবে নিষ্পেষিত হয়েছি, ৩০ লক্ষ শহিদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করে একটি সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে হবে। নতুন প্রজন্মের প্রতি আহবান থাকবে তারা যেন দেশটাকে ভালোবাসে। বঙ্গকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সামনে এগিয়ে যাবে মহান স্বাধীনতা দিবসে এই প্রত্যাশা করছি। আজ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আমরা সম্মানিত করলাম। ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে।'

এসময় আরও বক্তব্য রাখেন নোবিপ্রবির উপ-উপাচার্য ও জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুল বাকী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফারুক উদ্দিন, নোবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ারুল বাশার, সমাজবিজ্ঞান ও মানবিক অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. দিব্যদ্যুতি সরকার, আইআইএস পরিচালক ড. ফিরোজ আহমেদ, ভাষা শহিদ আবদুস সালাম হলের প্রভোস্ট ড. মো. আনিসুজ্জামান, রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন, অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মেজবা উদ্দিন পলাশ প্রমুখ।

এর আগে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অংশগ্রহণে বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বরে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ভাস্কর্যের সামনে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন নোবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. দিদার-উল-আলম। এরপর প্রশাসনিক ভবনের সামনে  থেকে স্বাধীনতা দিবসের উপলক্ষে একটি বর্ণাঢ্য র‍্যালি বের হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে র‍্যালি শেষ হয়। শহিদ মিনারে প্রথমে নোবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. দিদার-উল-আলম শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন। পরে নোবিপ্রবির বিভিন্ন অনুষদ, ইনস্টিটিউট, হল, বিভাগ, শিক্ষক সমিতি ও অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন, কর্মচারীবৃন্দ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা স্মৃতিসৌধে ফুল দিচ্ছেন। ছবি: ইত্তেফাক

ইত্তেফাকের বশেমুরবিপ্রবি সংবাদদাতা মো. রায়হানুল ইসলাম সৈকত জানিয়েছেন, স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, প্রীতি ক্রীড়া প্রতিযোগিতা এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক চলচ্চিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিসৌধে, গোপালগঞ্জ শহরে শেখ কামাল স্টেডিয়াম সংলগ্ন শহিদ স্মৃতিস্তম্ভ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং ক্যাম্পাসের ভবনসমূহে আলোকসজ্জা করা হয়।

শনিবার (২৬ মার্চ) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু অ্যাকাডেমিক ভবনের ৫০১ নম্বর কক্ষে শেষ রাসেল হলের প্রভোস্ট মো. ফায়েকুজ্জামান মিয়ার সঞ্চালনায় এবং উপাচার্য অধ্যাপক ড. একিউএম মাহবুবের সভাপতিত্বে 'বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান' শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে অনলাইনে যুক্ত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ।

প্রধান আলোচকের বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের বিষয়ে বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বলেন, বঙ্গবন্ধু ছোটবেলা থেকেই নিজের জীবন বিপন্ন করে সাধারণ মানুষের সেবায় নিজেকে আত্মনিয়োগ করেছেন। বঙ্গবন্ধুই প্রথম রাজনৈতিক নেতা যিনি ভাষা আন্দোলনের জন্য গ্রেফতার হন। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বেই এদেশের আপামর জনগণ মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে। দেশের জন্য বঙ্গবন্ধু পরিবারের যে অন্তহীন ত্যাগ তা পৃথিবীর কোনো পরিবারের নেই। বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতার মহানায়ক এবং তাঁর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা সোনার বাংলা গড়ার মহানায়ক। এজন্য সকলকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে বঙ্গবন্ধু কন্যার পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাই।

আলোচনা সভায় বশেমুরবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. একিউএম মাহবুব বলেন, বঙ্গবন্ধু শুধু দেশের জন্য সপরিবারে জীবন দিয়েই যাননি, তিনি আমাদের জন্য সামনে রেখে গেছেন সুন্দর একটি জীবন দর্শন, তাঁর জীবন দর্শন। বঙ্গবন্ধু সাধারণ মানুষের জন্য সারাজীবন সংগ্রাম করেছেন। আমরা শিক্ষিত লোক যদি বঙ্গবন্ধুর দর্শনে দীক্ষিত হই তাহলে এদেশ সত্যিকারের সোনার বাংলায় পরিণত হবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা এদেশকে সেদিকেই নিয়ে যাচ্ছেন। আসুন আমরা তাঁর হাতকে শক্তিশালী করি। আজকে স্বাধীনতার ৫১তম বছরে আমরা একাত্ম হই এবং এই জাতিকে গঠনে ঝাঁপিয়ে পড়ি।

এর আগে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. একিউএম মাহবুবের নেতৃত্বে রাত ১২টা ১৫ মিনিটে টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিসৌধে, সকাল সাড়ে ৯টায় গোপালগঞ্জ শহরে শেখ কামাল স্টেডিয়াম সংলগ্ন শহিদ স্মৃতিস্তম্ভে এবং সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পন করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ, কর্মচারী সমিতি, সকল হল, বিভিন্ন বিভাগ, রোভার স্কাউট, প্রেসক্লাব, সাংবাদিক সমিতিসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন মুক্তিযুদ্ধের সকল শহিদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠে দিনব্যাপী প্রীতি ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, বিকাল সাড়ে ৪টায় শহিদ মিনার চত্বরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং সন্ধ্যায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানসমূহে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

JKNU-26

ময়মনসিংহের নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মো. ফাহাদ বিন সাঈদ জানিয়েছেন, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ এবং শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৬ মার্চ) সকাল সাড়ে ৭টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন,  'চির উন্নত মম শির'-এ পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পয়েন্টে শোভাযাত্রা করেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর দে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার, রেজিস্ট্রার, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় চেয়ারম্যানবৃন্দ, শিক্ষক, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, প্রক্টর, ছাত্র উপদেষ্টা, বিভিন্ন দপ্তর প্রধান, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, ছাত্রলীগের নেতাকর্মী, সাংবাদিক প্রতিনিধি ও কর্মচারীবৃন্দ। এছাড়াও স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সকাল পৌনে ১১টায় আলোচনা অনুষ্ঠান এবং সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাধীনতা দিবসের শোভাযাত্রা। ছবি: ইত্তেফাক

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সব্যসাচী নিলয় জানিয়েছেন, শনিবার (২৬ মার্চ) সকাল ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে একটি আনন্দ শোভাযাত্রায় অংশ নেন শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা। এরপর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন সিকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মতিয়ার রহমান হাওলাদার। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটি, শিক্ষক সমিতি, কর্মকর্তা পরিষদ, গণতান্ত্রিক শিক্ষক পরিষদ (গশিপ), ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তর, প্রক্টর কার্যালয়, সাংবাদিক সমিতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখা, কৃষ্ণচূড়া সাংস্কৃতিক সংঘ, চলচ্চিত্র সংসদ সহ অন্যান্য দপ্তর, অনুষদীয় ছাত্র সমিতি, আবাসিক হল ও সংগঠনসমূহ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। এছাড়া জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতেও পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

এরপর কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন মাঠে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীদের জন্য ভলিবল খেলা আয়োজিত হয়। খেলা শেষে তাদেরকে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে উপহার দেয়া হয়। এছাড়া রাতে আবাসিক হলগুলোতে সকল শিক্ষার্থীদের জন্য বার্ষিক ভোজের আয়োজন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

ইত্তেফাক/এসটিএম