শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

রাণীনগরে রাস্তার পাশে ব্যবসায়ীর মরদেহ, আটক ৩

আপডেট : ০৩ এপ্রিল ২০২২, ১৭:১২

নওগাঁর রাণীনগরে রতন সরকার (৪২) নামের এক মাছ ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। আটকরা হলেন, দেউলা গ্রামের মৃত ফুটা মন্ডল এর ছেলে সুশিল চন্দ্র, তার ছেলে সুমন কুমার, ও সুশিল চন্দ্রের স্ত্রী মাধবী রাণী তারা দেউলা গ্রামের বাসিন্দা।

শনিবার (২ এপ্রিল) দিবাগত মধ্যরাতে উপজেলার দেউলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। রবিবার (৩ এপ্রিল) সকালে হাসপাতাল থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিন আকন্দ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। রতন সরকার দেউল গ্রামের মৃত রবীন্দ্রনাথ সরকারের ছেলে। 

থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রতন সরকার মাছের ব্যবসা করতেন। তার ৩টি পুকুর আছে। পাশাপাশি তার জমিও আছে সেগুলোতে চাষাবাদ করতেন। শনিবার দিবাগত মধ্যরাত সাড়ে ১১টার বেজে গেলেও তিনি পুকুর থেকে বাড়ি না আসায় পরিবারের লোকজন ও গ্রামবাসী তাকে খুঁজতে বের হয়। পরে রাত ১২টার দিকে বাড়ির কিছু দূরে ৫-৬টি বাড়ির পর সুশিল চন্দ্রের বাড়ির পাশে রাস্তার ধারে তার রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। এরপর দ্রুত তাকে উদ্ধার করে রানীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান তারা। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ রবিবার (৩ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে হাসপাতাল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নেয়।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কে এইচ এম ইফতেখারুল আলম খান বলেন, রতন সরকার সরকারকে রাত ১টার দিকে উপজেলা হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তিনি মারা যায়। আমাদের ধারণা তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যায়। তার শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। কোন ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে আঘাত করা হয়ে থাকতে পারে। রবিবার সকালে পুলিশ মরদেহ থানা হেফাজতে নিয়েছে।

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিন আকন্দ বলেন, নিহত রতন কুমারের মরদেহ থানায় নেয়ার পর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সকাল ৯টার দিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দেউলা গ্রামের মৃত ফুটা মণ্ডল এর ছেলে সুশিল চন্দ্র, তার ছেলে সুমন কুমার, ও সুশিল চন্দ্রের স্ত্রী মাধবী রাণীকে আটক করা হয়েছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ইত্তেফাক/এমএএম