যুক্তরাষ্ট্র মার্চের মাঝামাঝি সময়ে হাইপারসনিক বা শব্দের চেয়ে পাঁচগুণ বেশি গতির ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে। তবে দুই সপ্তাহের জন্য তা গোপন রাখা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন সেদেশের প্রতিরক্ষা দফতরের এক কর্মকর্তা। খবর প্রকাশ করেছে সিএনএন।
মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতরের ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, রাশিয়ার সঙ্গে চলমান উত্তেজনা এবং প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ইউরোপ সফর থাকায় ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার ওই খবর গোপন রাখা হয়।
তিনি আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম উপকূলে একটি বি-৫২ বিমান থেকে ‘দ্য হাইপারসনিক এয়ার-ব্রিদিং ওয়েপন কনসেপ্ট (এইচএডব্লিউসি)’ নিক্ষেপ করা হয়। লকহিড মার্টিনের তৈরি এ ক্ষেপণাস্ত্রের প্রথম সফল পরীক্ষা এটি। এর আগে সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনী প্রথম এইচএডব্লিউসি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্হার পরীক্ষা চালায়। খুব বেশি বিস্তারিত তথ্য দিতে রাজি হননি ওই কর্মকর্তা। কেবল জানিয়েছেন ক্ষেপণাস্ত্রটি ৬৫ হাজার ফুট ওপর দিয়ে ৩০০ মাইল দূরত্ব অতিক্রম করেছে।
খুব স্বল্প পাল্লার হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লাও প্রতি ঘণ্টায় ৩ হাজার ৮০০ মাইল। সে হিসেবে ক্ষেপণাস্ত্রটির ৩০০ মাইল যেতে ৫ মিনিটের কম সময় লাগার কথা। ইউক্রেনের যুদ্ধে রাশিয়া নিজস্ব হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করার কথা জানানোর পর যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালানোর খবর এলো।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের দাবি, রাশিয়ার কিনঝিল ক্ষেপণাস্ত্রের তুলনায় তাদের এইচএডব্লিউসি বা হক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্হা অনেক বেশি উন্নত। এর সামনের অংশে কোনো ওয়ারহেড বা বিস্ফোরক থাকে না। বরং লক্ষ্যবস্ত্তকে ধ্বংস করতে নিজের গতিশক্তি ব্যবহার করে ক্ষেপণাস্ত্রটি।
যুক্তরাষ্ট্রের এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার সময় প্রেসিডেন্ট বাইডেন ইউরোপ সফরের প্রস্ত্ততি নিচ্ছিলেন। সেখানে তিনি ন্যাটো মিত্রদের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং পোল্যান্ডে সফর করেন। কর্মকর্তারা জানান, ওয়াশিংন ও মস্কোর মধ্যে যাতে কোনো অযাচিত উত্তেজনা সৃষ্টি না হয়, সে বিষয়ে খুবই সতর্ক রয়েছে বাইডেন প্রশাসন। সে কারণেই শুক্রবার একটি আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা বাতিল করেছে তারা।