গরমের দিনে চুলের নানা সমস্যায় কমবেশি সবাই ভোগেন। কড়া রোদ, ঘাম, ধুলাবালি, হুটহাট এক পশলা বৃষ্টি আবার রোদ—চুলের বারোটা বেজে যায়। এসব কারণে ফ্যাশন সচেতন অনেক তরুণী গরমে চুল ছোট করে কেটে ফেলতেই স্বচ্ছন্দ বোধ করেন।
বিষয়টাকে এ ভাবেও বলা যায়, গরমে আরামে থাকতে পোশাকের বাহার যেমন বদলানো হয়, তেমনি চুলের স্টাইলও বদলে ফেলেন কেউ কেউ। কয়েক বছর আগেও মেয়েদের মাঝে লম্বা চুল রাখার প্রবনতাটা বেশ ভালোভাবেই ছিল। কিন্তু দীঘল কালো লম্বা চুলেই সবটা সৌন্দর্য লুকিয়ে আছে, এমন চিরায়ত ধারনায় বড় পরিবর্তন এসেছে এখনকার মেয়েদের মাঝে। চুলের স্টাইলে অনেকেই নতুনত্ব খুঁজছেন, আর সেই নতুনের ঢেউয়ে পাল তুলেছে ছোট চুলের রকমারি কাটছাঁট।
ফ্যাশনের রীতিটাই এমন, সময়ের ব্যবধানে ঘুরেফিরে ইচ্ছের দরজায় কড়া নাড়বে। একসময় যে ফ্যাশনটা হারিয়ে গেছে বলে মনে হয়, সেটাই ফিরে আসে নতুনকে সাথে নিয়ে দশক কিংবা যুগের ব্যবধানে। এই যেমন ‘বব কাট’ নামটির সাথে পরিচিত এদেশের নারীরা দশকের পর দশক ধরে।
আধুনিকা নারীর সেই চুলের স্টাইল ‘বব কাট’ বেশ জোরেশোরে ফিরে এসেছে সামারে হেয়ার কাট ট্রেন্ডে। ‘সাইড পার্টেট ব্লান্ট বব’ এর কদরটা তুলনামূলক বেশি এ সময়ের মেয়েদের কাছে। আর যারা হরহামেশা চুলের স্টাইল বদলাতে স্বাছন্দ্য বোধ করেন সেসব সাহসী মেয়েদের পছন্দ ‘শর্ট বব’।
‘দ্য স্যাগি হেয়ার’ কাটটাও জনপ্রিয়তা পেয়েছে আজকাল। এ কাটের সৌন্দর্য হলো সামনের দিকের কয়েক গাছি চুল খানিকটা লম্বা রাখা। সে ক’গাছি লম্বা চুল কানের দু’পাশ দিয়ে নিচের দিকে নেমে আসবে। আঙুলে আঙুলে মাঝে মধ্যেই গুছিয়ে নিতে পারেন সে চুলগুলো। ফ্যাশন সচেতন মেয়েরা ‘চপিং ব্যাং’ হেয়ার স্টাইলটিও লুফে নিচ্ছে। অন্যদিকে ‘পিক্সি কাট’ হালের ক্রেজ তৈরি করেছে। মাতিয়ে রাখছে তারুণ্যকে ফ্যাশনে স্টাইলে।