দক্ষিণ কোরিয়ায় একটি শিশুর জন্মের পরই ৯ মাস মায়ের গর্ভে থাকার হিসাবে তার বয়স ধরা হয় পুরো এক বছর। তারপর নববর্ষ শুরু হলে অর্থাৎ, ১ জানুয়ারিতে ঐ বয়সের সঙ্গে যোগ করা হয় আরো এক বছর। এর মানে দক্ষিণ কোরিয়ায় ডিসেম্বরে জন্ম নেওয়া একটি শিশু মাত্র কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানেই দুই বছর বয়সি বলে বিবেচিত হয়। সেই দক্ষিণ কোরীয়দের বয়স এখন কমে যেতে পারে জলদিই?
শুনতে অদ্ভুত হলেও সেটি সম্ভব। যদিও বয়স বেড়ে যাওয়াটা একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া। ঘড়ির কাঁটাকে পেছনে নিয়ে যাওয়ার উপায় নেই। তাহলে কীভাবে দক্ষিণ কোরীয়দের বয়স কমা সম্ভব। শিগগিরই বদল করা হতে পারে ‘কোরিয়ান এইজ’-এর এই কয়েক শতাব্দী প্রাচীন পদ্ধতিটি। দক্ষিণ কোরিয়ার নতুন সরকার এ নিয়ম থেকে বেরিয়ে আসার প্রস্তাব করেছে। বিশেষজ্ঞদের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে বিভক্তি থাকলেও দক্ষিণ কোরিয়ার নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ইউন সক-ইওল এই বয়স গণনা পদ্ধতি বাতিল করার জন্য চাপ দিচ্ছেন। তার এই চেষ্টা সফল হলে দক্ষিণ কোরীয়দের বয়স চট করেই এক বছর কমে যেতে পারে। যদিও সেটি হতে পারে কেবল কাগজে-কলমে।
প্রেসিডেন্ট-ইলেক্টস ট্রানজিশন কমিটির প্রধান লি ইয়ং-হো বলেন, দক্ষিণ কোরিয়ার বয়স গণনা পদ্ধতিকে বাদবাকি বিশ্বের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ করতে এর নির্দিষ্ট মানদণ্ড নির্ধারণ করতে চাইছে নতুন প্রশাসন। তিনি বলেন, ভিন্ন রকম বয়স গণনা পদ্ধতির ফলে ‘বিভ্রান্তি’ সৃষ্টি হওয়ার পাশাপাশি ‘অপ্রয়োজনীয় সামাজিক ও অর্থনৈতিক মূল্য’ দিতে হয়। নিয়ম বদলানোর নতুন প্রস্তাবকে কিছু মানুষ সাদরেই গ্রহণ করেছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন নিয়ম সমাজে বাস্তবায়িত হবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ আছে।
- বিবিসি