শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

রানা প্লাজা ধসের ৯ বছর: চোখের জলে নিহত ও নিখোঁজদের স্মরণ

আপডেট : ২৪ এপ্রিল ২০২২, ২০:৩৭

সাভারের রানা প্লাজার ট্র্যাজেডির ৯ বছর পূর্ণ হয়েছে রবিবার (২৪ এপ্রিল)। প্রতি বছরের মতো এবারও রানা প্লাজার সামনে এসেছিলেন স্বজন হারানো শ্রমিক পরিবারের সদস্যরা।

২০১৩ সালের এই দিনে সাভার বাসস্ট্যান্ডের বহুতল ভবন রানা প্লাজা ধসে পড়ে। দিনটি উপলক্ষে প্রতিবাদী সমাবেশ, স্মৃতি স্তম্ভে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, দোষীদের শাস্তির দাবি ও শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় স্মরণ করা হয় রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির হতাহতদের।

দিবসটি উপলক্ষে ৫৪টি গার্মেন্টস শ্রমিক সংগঠন নিয়ে গঠিত- ‘গার্মেন্টস শ্রমিক সমন্বয় পরিষদে’র উদ্যোগে সকাল ১০টায় রানা প্লাজার নির্মিত অস্থায়ী স্মৃতিস্তম্ভের সামনে একটি শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সমাবেশে গার্মেন্টস শ্রমিক সমন্বয় পরিষদের সাভার-আশুলিয়া, ধামরাই শিল্পাঞ্চল কমিটির আহ্বায়ক শ্রমিক নেতা রফিকুল ইসলাম সুজনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন  শ্রমিক নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসাইন, শ্রমিক নেতা নাহিদুল হাসান নয়ন, শামীম খান, কামরুন নাহার প্রমুখ।

এর আগে সকাল ৯টায় শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট, জি-স্কপ, শ্রমিক নিরাপত্তা ফোরামের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সৌমিত্র কুমার দাস।  

রানা প্লাজা ধসে আহত হনুফা বেগম এসেছিলেন নিজের দাবি এবং অধিকার আদায়ের জন্য। অস্থায়ী বেদীতে ফুল দিয়ে নিখোঁজ ও নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধাও জানিয়েছেন তিনি।

স্মৃতি স্তম্ভে শ্রদ্ধা জানানো হচ্ছে।

তিনি বলেন, ৯ বছর পূর্ণ হলো তবুও আমার উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ পেলাম না। টাকার অভাবে নিজের চিকিৎসা করাতে পারছি না। রানা প্লাজার ৫ তলার প্যান্টম অ্যাপেরালে সুইং অপারেটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন নিলুফা বেগম।

এভাবেই তার মতো স্বজন হারানো ব্যক্তিদের কান্নায় ভারী হয়ে উঠে রানা প্লাজা চত্বরের আকাশ-বাতাস। সবার দাবি উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ, সুচিকিৎসা, পুনর্বাসন এবং দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করা। 

ইত্তেফাক/ইউবি