কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক উন্নয়ন কাজের কারণে পাশের খাল ভরাট হওয়ায় পানিতে তলিয়ে গেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিসিক শিল্পনগরীর অন্তত ৩০টি কারখানা। ফলে গত চার-পাঁচদিন ধরে বন্ধ রয়েছে কারখানাগুলোর উৎপাদন।
এ অবস্থায় ঈদ মৌসুমে বাড়তি উৎপাদন তো দূরের কথা নিয়মিত উৎপাদনই করতে পারছে না কারখানাগুলো। এতে ব্যবসায়ীদেরকে লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিসিক শিল্পনগরীতে মোট ৬৮টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। বিসিকের সামনে দিয়ে যাওয়া কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কটি ফোর-লেনে রূপান্তরিত করার কাজ চলাতে বেশ কিছুদিন ধরে বালুসহ প্রয়োজনীয় অন্যান্য সামগ্রী ফেলা হচ্ছে। এরই মধ্যে বিসিকের সামনের খালটিও বালু দিয়ে ভরাট করে ফেলা হয়। ওই খালটিতে পুরো বিসিক এলাকার কারখানাগুলোর বর্জ্য পানি ফেলা হতো। সম্প্রতি খালটি ভরাট কাজ শুরু হয়। গত চার-পাঁচ দিন আগে এটি পুরোপুরি ভরাট হয়ে যাওয়ায় বিসিকে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে।
এতে করে শিল্পনগরীতে থাকা অন্তত ৩০টি কারখানায় পানি ঢুকে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। এছাড়া বিসিক কার্যালয়ের আঙ্গিনায়ও পানি থাকায় কর্মকর্তা-কর্মচারিরা সেখানে যেতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
মেসার্স সুবর্ণ আইসক্রিম ফ্যাক্টরির স্বত্বাধিকারী মো. জাকির হোসেন জানান, ৯০ দশকের দিকে বিসিক গড়ে উঠার পর থেকেই এ খালে এখানকার বর্জ্য পানি যেতো। এখন হুট করেই এটি বন্ধ করে দেওয়ায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। এর আগে অবশ্য মৌখিকভাবে নিজস্ব ড্রেনেজ ব্যবস্থার কথা বলা হয়। কিন্তু ব্যবসায়ীদের পক্ষে এটা করা সম্ভব না। ব্যবসায়ীরা চান সরকারের সংশ্লিষ্টরা এ বিষয়টি নিজেদের মধ্যে সমাধান করুক।
ফোর-লেন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক খন্দকার গোলাম মোস্তফা সাংবাদিকদেরকে জানান, খালের অংশটি সড়ক ও জনপথের। এখানে বিসিকের কোনো জায়গা নেই। বিসিক কর্তৃপক্ষকে নির্ধারণ করতে হবে তারা কোথায় বর্জ্য পানি ফেলবেন। এ জন্য তাদেরকে নিজস্ব ব্যবস্থা করতেও বলা হয়েছে। আমরা আমাদের পক্ষ থেকে যা করার দরকার সেই সহযোগিতা করবো।
বিসিক শিল্প নগরীর সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. রুকন উদ্দিন ভূঁইয়া রবিবার সন্ধ্যায় বলেন, আমাদের কার্যালয়সহ অর্ধেকের মতো কারখানা পানিতে তলিয়ে আছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও প্রকল্প সংশ্লিষ্টদেরকে জানানো হয়েছে। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলেছেন একটি নালা কেটে দিবেন। কিন্তু এখনো তারা সেটা করেননি।