শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

ভিজিডির চাল নিতে আসা নারীকে পেটানোর অভিযোগ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে 

আপডেট : ২৬ এপ্রিল ২০২২, ১৫:৫৫

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় ভালনারেবল গ্রুপ ডেভেলপমেন্ট (ভিজিডি)-এর চাল চাইতে গিয়ে তিরনইহাট ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যানের হাতে হালিমা খাতুন (৫২) নামে এক নারী মারধরের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল সোমবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে এই ঘটনা ঘটে। 

ভুক্তভোগী ওই নারী খয়খাট পাড়া গ্রামের নজরুল ইসলাম স্ত্রী। আর অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যানের নাম আলমগীর হোসাইন। এ ঘটনায় ওই নারী থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। 

অভিযোগে জানা যায়, হালিমা নামের ওই নারী তিরনইহাট ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসাইনের কাছে ভিজিডির ১০ কেজি চাল সহযোগিতা চান। দীর্ঘ সময় বসিয়ে রেখে চেয়ারম্যান সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের মেম্বরের কাছ থেকে কার্ড আনতে বলেন। এরপর মেম্বরের কাছে গেলে তিনি চেয়ারম্যানের কাছে যেতে বলেন। চাল বিতরণ শেষে আবার চাল সহায়তা চাইতে গেলে চেয়ারম্যান উত্তেজিত হয়ে মারধর করতে থাকেন। মারধরের শিকার হয়ে ওই নারী বিচার চেয়ে মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।

বিষয়টি জানতে মঙ্গলবার সকালে এলাকায় গিয়ে জানা যায়, ওই নারী ভিক্ষাবৃত্তি করে সংসার চালান। তার স্বামী নজরুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে পাইলস, লিভার ও হার্নিয়াসহ জটিল রোগে ভুগছেন। সম্প্রতি হার্নিয়া রোগে অপারেশন করে কর্মহীন অসহায় অবস্থায় জীবনযাপন করছেন।

ভুক্তভোগী হালিমা বলেন, ‘আমি খুব অসহায়। স্বামী অসুস্থ। ভিক্ষা করে সংসার চালাচ্ছি। সোমবার বিকেলে ইউনিয়ন পরিষদে ভিজিডি চাল দিচ্ছে জেনে চেয়ারম্যানের কাছে ১০ কেজি চাল সাহায্য চাই। আসর নামাজ পর্যন্ত আমাকে বসিয়ে রাখার পর চাল চাইতে গেলে চেয়ারম্যান চাল তো দিলোই না, উল্টো আমাকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেন। কিল-ঘুষি দিয়ে মারধর করে। মাটিতে পড়ে গেলে আমার পেটের ওপর লাথি মারার সময় চৌকিদাররা চেয়ারম্যানকে সরিয়ে নেন। মারধরের শিকার হয়ে বাড়িতে চলে আসি। ইউএনও স্যারের কাছে গিয়ে বিচার চাইলে তিনি থানায় অভিযোগ করতে বলেন। পরে থানায় অভিযোগ করি।’

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সোহাগ চন্দ্র সাহা বলেন, ‘আমার কাছে ওই নারী এসেছিলেন। বিষয়টি জেনে পরামর্শ দিয়ে তাকে পাঠিয়ে দেই।’

চেয়ারম্যান আলমগীর হোসাইন বলেন, ‘অভিযোগটি মিথ্যা ও বানোয়াট। আগের চেয়ারম্যান তাকে একটি জন্মসনদ দেন। পরে কোর্ট থেকে ভেরিফাই করে জন্মসনদটি জাল প্রমাণিত করাই আমার অপরাধ। আমাকে ফাঁসানোর জন্য এ অভিযোগ করা হয়েছে।’

মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আবু ছায়েম মিয়া বলেন, ‘এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।’


  

 

 

 

ইত্তেফাক/এএএম