ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে অন্যবার যানজট থাকলেও এবার যানজট কমাতে ভিন্ন কৌশল গ্রহণ করা হচ্ছে। যানজট এড়াতে ঢাকাগামী পরিবহনগুলো অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। যার ফলে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব মহাসড়কে যানবাহনের চাপ থাকলেও চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব মহাসড়কের সেতু গোলচত্ত্বর, এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড, রাবনা বাইপাস ঘুরে যানবাহনের দীর্ঘসারি বা চাপ দেখা যায়নি। অন্য দিনের মতই পরিবহন নির্বিঘ্নে চলাচল করছে। সকাল থেকে পরিবহন স্বাভাবিক গতিতে চলাচল করছে। যদিও ভোর থেকে মহাসড়কে পরিবহনের চাপ থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। এতে কোথাও যানজট বা ধীরগতি নেই।
এদিকে বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব পাড়ে উত্তরবঙ্গগামী মোটরসাইকেল পারাপারের জন্য দুইটি লেন চালু করা হয়েছে। এতে সেতুর পূর্ব গোল চত্ত্বর থেকে মোটরসাইকেলগুলো স্টক ইয়ার্ড (মালবাহী পরিবহন থেকে মালামাল আনলোডের স্থান) সড়ক দিয়ে সেতুর টোল প্লাজায় প্রবেশ করেছে। এতে সকালে সেতু এলাকায় কয়েকশত মোটরসাইকেলের জটলার সৃষ্টি হয়েছিল।
জানা গেছে, ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বৃদ্ধি পেলেও স্বাভাবিক গতিতেই যান চলাচল করছে। তবে মহাসড়কের চন্দ্রা থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত চারলেন সুবিধা পেয়ে যানবাহনগুলো স্বাভাবিক গতিতে আসতে পারলেও এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্বপাড় পর্যন্ত দুই লেনের কারণে যানবাহনের গতি কমাতে বাধ্য হচ্ছে যানবাহনের চালকেরা। ঈদ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার থেকে সরকারি ছুটি ঘোষণার পর থেকে মানুষজন প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে। অনেকেই বাড়তি ভাড়ার কারণে পরিবার নিয়ে খোলা ট্রাকে চেপে বাড়ি ফিরছে।
এদিকে মহাসড়কের এলেঙ্গা হতে বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব দুইলেন সড়কের চাপ কমাতে ঢাকাগামী পরিবহনগুলো বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব গোলচত্ত্বর থেকে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ওই পরিবহনগুলো গোলচত্ত্বর হতে ভূঞাপুর-তারাকান্দি সড়ক ব্যবহার করে ২০ কিলোমিটার ঘুরে মহাসড়কের এলেঙ্গা গিয়ে প্রবেশ করছে।
মহাসড়কের এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. আতাউর রহমান বলেন, গাড়ির চাপ আস্তে আস্তে বাড়ছে। তবে কোথাও যানবাহন চলাচল থেমে নেই। পরিবহন চলাচল স্বাভাবিক করতে সড়কে কাজ করে যাচ্ছে পুলিশ।