ভারতের ভৌগলিক অবস্থা, আকার, সামরিক বাহিনীতে সেনার সংখ্যা ও ভারত মহাসাগরে একটি শক্তিশালী উপস্থিতি কোয়াডের জন্য আদর্শ কৌশলগত অংশীদারিত্ব। এশিয়া-ইউরোপ ইনিস্টিটিউটের লেকচারার রাহুল মিসরা (পিএইচডি) এর মতে, কোয়াডে দক্ষিণ কোরিয়ার সংযোজন মূল্যবান হবে। কিন্তু চীনকে কার্যকরভাবে দমাতে এই পদক্ষেপ অপর্যাপ্ত।
এশিয়া টাইমসে লেখা কলামে তিনি বলেন, ইউক্রেন ইস্যুতে জাতিসংঘে তোলা প্রস্তাবে ভারতের অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকা নিয়ে অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। বিশেষ করে কোয়াড সদস্যের মধ্যে এ নিয়ে চিন্তা দেখা গেছে।
যার কারণে রাশিয়ার বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে কোয়াড সদস্যদের মধ্যে অস্ট্রেলিয়া, জাপান এমনকি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন পর্যন্ত ভারতকে আহ্বান জানিয়েছেন। কোয়াডে ভারতের অবস্থান নিয়েও অনেকে প্রশ্ন তুলছেন। অনেকে মনে করছেন, কোয়াডকে পাশে রেখে চীন-ভারত-রাশিয়া নতুন একটি জোট গঠন করতে পারে।
সূত্রের তথ্য মোতাবেক, মে মাসে হতে যাওয়া কোয়াড সম্মেলনে পর্যবেক্ষক হিসেবে যোগদান করতে পারে দক্ষিণ কোরিয়া। কিন্তু দেশটির জাতীয় প্রতিরক্ষা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট মেজর জেনারেল জুং হায়-ইল এ কথা অস্বীকার করেছেন,
রাহুল মিসরা বলেন, কোয়াডে দক্ষিণ কোরিয়ার অন্তর্ভুক্তির পক্ষে শক্তিশালী যুক্তি রয়েছে। কারণ দেশটির ক্রমবর্ধমান শিল্প-সামরিক খাত ও গণতন্ত্রকে বলা হয়েছে যে তারা কোয়াডের একটি আদর্শ অংশীদার হতে পারে। সেইসঙ্গে ওই অঞ্চলে নিয়ম-ভিত্তিক শৃঙ্খলা রক্ষায় মার্কিন নেতৃত্বাধীন বিস্তৃত প্রচেষ্টার মূল খেলোয়াড় হতে পারে দক্ষিণ কোরিয়া।