বৃহস্পতিবার, ০৮ জুন ২০২৩, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

গাজীপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ

আপডেট : ০৬ মে ২০২২, ১১:৫৯
শ্রীপুরের এক নারী উদ্যোক্তা ও সমাজকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে গাজীপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি শাহীন আলমের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই নারী বৃহস্পতিবার (৫ মে) শ্রীপুর থানায় লিখিতভাবে এ বিষয়ে অভিযোগ করেছেন। শ্রীপুর থানার পরিদর্শক তদন্ত মাহফুজ ইমতিয়াজ ভূইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

অভিযুক্ত শাহীন আলম উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের নগরহাওলা গ্রামের দক্ষিন ধনুয়া গ্রামের মো. ওয়াহিদ মিলিটারির ছেলে।

ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগে জানা যায়, ওই নারী বিভিন্ন কনজ্যুমার পণ্যের ভ্রাম্যমাণ ব্যবসা করেন। বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তার সাথে ছাত্রলীগ নেতা শাহীনের পরিচয় হয়। বিগত ৮ জুলাই সন্ধ্যা ৬টার দিকে শাহীন ওই নারীকে ব্যবসায়ীক কাজের কথা বলে গাজীপুর ইউনিয়নের স্থানীয় জৈনাবাজারে তার ব্যক্তিগত অফিসে নিয়ে ঙায়। এক পর্যায়ে আহত ও জবরদস্তি করে ওই নারীকে ধর্ষণ করে শাহীন।
 
ভিকটিম জানান, পরে এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি নিলে স্থানীয় কথিত প্রভাবশালীরা ঘটনা ধামাচাপা দিতে অজ্ঞাত জনৈক মুন্সি দিয়ে ওই নারীর সাথে শাহীনের মৌখিকভাবে বিয়ে পড়ান। পরে কাবিন রেজিষ্ট্রির কথা থাকলেও শাহীন কাবিন না করে ওই নারীকে এখানে সেখানে নিয়ে তার সাথে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে মেলামেশা করেন।

ভিকটিম আরও জানান. সম্প্রতি ওই নারী তাকে কাবীন করে বউ হিসেবে ঘরে তুলে নিতে চাপ দিলে শাহীন গোপনে অন্যত্র বিয়ে করে ফেলে। বিষয়টি জেনে ভিকটিম  বুধবার ৪মে  বুধবার রাতে শাহিনের বাড়িতে গেলে মারধর করে। পরে খবর পেয়ে শ্রীপুর থানা পুলিশ তাকে ওই বাড়ি থেকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় পরদিন বৃহস্পতিবার ভূক্তভোগী নারী ছাত্রলীগ নেতা শাহীন আলমের বিরুদ্ধে শ্রীপুর থানায় ধর্ষণের লিখিত  অভিযোগ করেন।
ভূক্তভোগী নারী জানান, তিনি আর্ন্তজাতিক ভাবে নরওয়ে থেকে মালালা এবং মুম্বাই থেকে মাদার তেরেসা পদক লাভ করেন। শাহীন তার সাথে বিয়ের নাটক করে তাকে ধর্ষণ করেছে। তার সাথে প্রতারণা করেছে। তিনি এর বিচার দাবী করেন।
 
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শাহীনের বক্তব্য নিতে তাকে মোবাইল ফোনে একাধিক বার ফোন করলেও তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।
 
গাজীপুর জেলা ছাত্রীগের সভাপতি সুলতান মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। সে সম্প্রতি বিলুপ্ত কমিটির সহ-সভাপতি ছিল। অপরাধ করলে তার বিচার হোক। জেলা ছাত্রলীগে কোন অপরাধীর ঠাঁই হবে না।’
 
শ্রীপুর থানার পরিদর্শক তদন্ত মাহফুজ ইমতিয়াজ ভূইয়া জানান, ভূক্তভোগী নারীর অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
 
ইত্তেফাক/এসজেড