শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

শুকিয়ে যাচ্ছে কাপ্তাই লেক, রাঙ্গামাটি থেকে পাঁচ উপজেলায় লঞ্চ যোগাযোগ বন্ধ

আপডেট : ০৭ মে ২০২২, ১১:০১

কাপ্তাই লেকের পানি অস্বাভাবিক ভাবে শুকিয়ে যাওয়ায় রাঙ্গামাটি জেলা সদরের সঙ্গে পাঁচ উপজেলা সদরের যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। গত মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে এসব উপজেলায় লঞ্চ যেতে পারছে না। 

অনাবৃষ্টি, খরা, তলদেশ ভরাটসহ পানির স্তর অস্বাভাবিক হারে হ্রাস পেয়ে কাপ্তাই হ্রদ এখন প্রায় জীর্ণ জলাশয়। অসংখ্য ডুবো চর জেগে উঠেছে নৌযান চলাচল পথে। যার কারণে লঞ্চ চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। পাঁচ উপজেলা সদর বাঘাইছড়ি, নানিয়ারচর, বরকল, জুরাছড়ি ও বিলাইছড়িতে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে পানি পথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার প্রায় ২ লাখ মানুষ নানা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। 

লংগদু যাত্রী কল্যাণ সমিতির আহ্বায়ক তরুণ আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবদুর রাজ্জাক জানান, জেলা সদর থেকে লংগদু আসতে প্রায় তিন-চার ঘণ্টা সময় লাগে লঞ্চে। অপরদিকে, শিশু ও গর্ববতী মা বোনদের যে হারে কষ্ট হচ্ছে তা না দেখে কেউ বিশ্বাস করতে পারবে না। প্রতি বছর এই সময়ে এ লংগদুসহ পাঁচ উপজেলার মানুষের ভোগান্তির সীমা থাকে না।

বাঘাইছড়ি প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও প্রবীণ সাংবাদিক দীলিপ কুমার দাশ বলেন, উপজেলার সঙ্গে জেলা সদরের যাতায়াত ব্যবস্থা দীর্ঘ বছরের। চরম দুর্ভোগ হতে যাত্রীরা রক্ষা পেতে মারিশ্যা হতে লংগদু ভায়া নানিয়ারচর পর্যন্ত নির্মাণাধীন সড়ক দ্রুত সম্পন্ন করার দাবি জানিয়েছেন বাঘাইছড়িবাসী। প্রতি বছর শুষ্ক মৌসুমে প্রায় ছয় মাস কাপ্তাই লেকের পানি শুকিয়ে যায়, তাই লঞ্চ চলাচলে বাধাগ্রস্ত হয়ে যাত্রীদের জেলা শহর খাগড়াছড়ি হয়ে রাঙ্গামাটি সদরে যেতে হয়। দুর্ভোগের শেষ নেই বাঘাইছড়িবাসীর।

রাঙ্গামাটি লঞ্চ মালিক সমিতি সভাপতি মো. মঈন উদ্দিন সেলিম বলেন, প্রায় পাঁচ উপজেলার সঙ্গে জেলা সদরের লঞ্চ যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তাই লঞ্চ নিয়ে বড়ই বিপদে আছি। প্রতি বছর এই মৌসুমে হ্রদে পানি কমে গিয়ে ডুবন্ত চর জেগে উঠলে লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এসব বিষয়ে নদী রক্ষা জাতীয় কমিটি ও নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ে অনেক বার চিঠি লিখেছি। জেলা প্রশাসকরা অনেক বার প্রস্তাব পাঠিয়েছে। তার পরেও কাপ্তাই লেক ক্যাপিটাল ড্রেজিং করা হচ্ছে না।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, কাপ্তাই লেক ড্রেজিং সংক্রান্ত ব্যাপারে ওপর মহল থেকে কোনো সুরাহা এখনো আসেনি। তবে কাপ্তাই লেক ড্রেজিংয়ের ব্যাপারে সরকারের সিদ্ধান্ত রয়েছে।

ইত্তেফাক/ ইআ