ঈদের ছুটি শেষে মাদারীপুরের শিবচরের বাংলাবাজার ঘাটে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলার কর্মস্থলমুখো যাত্রী ও যানবাহনের চাপ ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। সীমিত সংখ্যক ফেরি চলাচল করায় ঘাট এলাকায় পারাপারের অপেক্ষায় যানবাহন ও মোটরসাইকেলের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে।
এদিকে মাদারীপুর জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন সকাল থেকে লঞ্চঘাট, স্পিডবোটঘাট ও ফেরীঘাট তদারকি করছেন। কেউ যেন অতিরিক্ত টাকা না নিতে পারে সেজন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
বিআইডব্লিউটিএ, বিআইডব্লিউটিসিসহ একাধিক সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকাল থেকেই দক্ষিনাঞ্চলের জেলাগুলো থেকে বাস, পিকআপ, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহনে কর্মস্থলমুখো যাত্রীরা বাংলাবাজার ঘাটে আসতে শুরু করে। সকালের দিকে কিছুটা কম থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে ঘাট এলাকায় যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বাড়তে থাকে। বাংলাবাজার ঘাট থেকে শিমলিয়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া প্রতিটি লঞ্চ ও স্পীডবোট ছিল যাত্রীতে পরিপূর্ন। লোডমার্ক অনুযায়ী লঞ্চগুলো যাত্রী পারাপার করছে।
এবার স্পীডবোটে যাত্রীদের লাইফ জ্যাকেট ব্যবহার করতে দেখা গেছে। বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌপথে রোরো ফেরি এনায়েতপুরী, বেগম সুফিয়া কামাল, বেগম রোকেয়া, কেটাইপ ফেরি কুঞ্জলতা, ক্যামেলিয়া ফেরি দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করছে বিআইডব্লিউটিএ। ফেরিগুলোতে সাধারণ যাত্রী, অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরী যানবাহন, কাঁচামালবাহী গাড়ি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পারাপার করা হচ্ছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ঘাট এলাকায় মোটসাইকেলের প্রচন্ড চাপ রয়েছে।
তবে সীমিত সংখ্যক ফেরি চলাচল করায় ঘাট এলাকায় যানবাহন ও যাত্রীদের ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। পারাপারের অপেক্ষায় ঘাট এলাকায় দুই শতাধিক যানবাহনের লাইন সৃষ্টি হয়েছে। তীব্র গরমে দীর্ঘ সময় ঘাটে আটকে থেকে নারী, শিশুসহ যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েন। এদিকে দক্ষিনাঞ্চল থেকে আসা প্রতিটি যানবাহনই অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে বলে যাত্রীরা অভিযোগ করেন।
বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ঘাট ম্যানেজার মো. সালাউদ্দিন বলেন, “এরুটে ৫টি ফেরি দিয়ে যাত্রী, জরুরী গাড়ি ও কাঁচামালবাহি গাড়ি পারাপার করা হচ্ছে। কিছু গাড়ি পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। আমরা সিরিয়াল অনুযায়ী সকল গাড়িই পার করছি। বাইকের জন্য পৃথক ঘাট করা হয়েছে।”