বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

দেশের সব বন্দরে সতর্কতা সংকেত

ঘণ্টায় ১৫ কিলোমিটার বেগে অগ্রসর হচ্ছে 'আসানি'

আপডেট : ০৮ মে ২০২২, ১৬:৪৫

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। এটি বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে ঘণ্টায় প্রায় ১৫ কিলোমিটার বেগে।

শনিবার (৭ মে) দুপুরে এটি লঘুচাপ ও গভীর নিম্নচাপ পর্যায় সম্পন্ন করে পূর্ণ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়। 'আসানি' নামের এই ঘূর্ণিঝড়টি দুপুর ১২টার দিকে ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রী উত্তর অক্ষাংশ ও ৯১ দশমিক ৩ ডিগ্রী দ্রাঘিমাংশে অবস্থান করছিল। 

ইতোমধ্যেই বাংলাদেশের সব সমুদ্র বন্দরকে ১ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদফতর বলছে,  উড়িষ্যা, পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের খুলনা ও সাতক্ষীরা উপকূলে আঘাত হানতে পারে এই ঘূর্ণিঝড়টি। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবির সাংবাদিকদের জানান, এটির গতি আপাতত উত্তর-পশ্চিম দিকে আছে। সে অনুযায়ী এটি উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ ও উড়িষ্যা উপকূলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আগামী ১০ থেকে ১২ মের মধ্যে উপকূলে আঘাত হানবে ঘূর্ণিঝড়টি।

আবহাওয়া পূর্বাভাসের একাধিক তথ্য-উপাত্ত বলছে, এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হতে পারে কক্সবাজার জেলায়। এমনটা ঘটলে সেখানকার রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরগুলোতে ভূমিধ্বস হয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।
মোস্তফা কামাল পলাশ, আবহাওয়াবিদ

আবহাওয়াবিদ ও গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ ইত্তেফাক অনলাইনকে বলেন,  আজ দুপুর ১২টার দিকে সমুদ্রপৃষ্ঠে ঘূর্ণিঝড়টির বাতাসের বেগ ছিল ঘণ্টায় প্রায় ৭৫ কিলোমিটার। দমকা হাওয়া সহ এটি ঘণ্টায় প্রায় ৯৩ কিলোমিটার পর্যন্ত বেড়েছে। এ সময় ঘূর্ণিঝড়টি কলকাতা বন্দর থেকে প্রায় ১৫০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিল।

তিনি জানান, সোমবারের আগে নিশ্চিত হয়ে বলা যাচ্ছে না এটি কোন স্থানের উপর দিয়ে স্থলভাগে আঘাত করবে। তবে এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে খুলনা ও বরিশাল বিভাগের উপকূলীয় জেলাগুলোতে বৃষ্টি হতে পারে সোমবার থেকে। আবহাওয়া পূর্বাভাসের মডেল অনুযায়ী, মঙ্গলবার (১০ মে) থেকে চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলোতে বৃষ্টি শুরু হবে। এর পরদিন থেকে বরিশাল, খুলনা, চট্টগ্রাম, সিলেট বিভাগের জেলাগুলোয় এবং ১৩ মে সারাদেশে বৃষ্টি হবে। 

তিনি বলেন, ১৩ ও ১৪ মে চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলোতে ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল অনুসারে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলায় ১০ মে থেকে ১৪ মে পর্যন্ত ৬০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হতে পারে। এখন পর্যন্ত পাওয়া একাধিক তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করলে দেখা যাচ্ছে, সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হতে পারে কক্সবাজার জেলায়। এমনটা ঘটলে সেখানকার রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরগুলোতে ভূমিধ্বস হয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে।

 

ইত্তেফাক/এসটিএম

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন